নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম উর্মির পর এবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে ফেসবুকে মন্তব্য করে বরখাস্ত হলেন ঝালকাঠি সদর উপজেলা পরিষদের কর্মচারী এস এম মনিরুজ্জামান।
সোমবার (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। মনিরুজ্জামান উপজেলা পরিষদের সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে কর্মরত ছিলেন। একইসঙ্গে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যানের গোপনীয় সহকারীর (সিএ) দায়িত্বে ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারহানা ইয়াসমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, প্রথম আলোর অনলাইন পেজে শেয়ার করা একটি নিউজের লিংকের মন্তব্যে মনিরুজ্জামান লিখেছেন, ‘আগে জেলে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল, এখন ফাঁসি নিশ্চিত (যদি বাংলাদেশে জীবিত থাকেন)।’ যা সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য প্রকাশ করা অনুচিত। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে এস এম মনিরুজ্জামানের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ করেননি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ‘জেলে না গিয়ে বঙ্গভবনে শপথ নিলাম: ড. ইউনূস’ শিরোনামে ৬ অক্টোবর একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছিল দৈনিক প্রথম আলো। নিউজটি প্রথম আলোর ফেসবুক পেজে পোস্ট করা হয়। সেখানে নিউজ লিংকের মন্তব্যের ঘরে এস এম মনিরুজ্জামান লিখেছেন, ‘আগে জেলে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল, এখন ফাঁসি নিশ্চিত (যদি বাংলাদেশে জীবিত থাকেন)।’ বিষয়টি জেলা প্রশাসক আশরাফুর রহমানের নজরে এলে মনিরুজ্জামানকে বরখাস্ত করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ জারি করা হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, এর আগে ঝালকাঠি জেলা ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদকসহ দলের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন এস এম মনিরুজ্জামান। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের পোস্টে বিরূপ মন্তব্য করে আসছিলেন।
এর আগে রবিবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ওএসডি হন লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম উর্মি। সোমবার তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। সেইসঙ্গে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।