ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে শুরু হলো বিআরটিসির বাস চলাচল। আজ (সোমবার) বেলা ১১টা থেকে প্রাথমিকভাবে আটটি দ্বিতল বাস দিয়ে শুরু হলো এ কার্যক্রম। সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব আমিন উল্লা নুরী এর উদ্বোধন করেন। এসময় বিআরটিসির চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

এ বাস অনেকটা ‘শাটল’ সার্ভিসের মতো চলবে অর্থাৎ শুধু উড়ালসড়ক কেন্দ্র করে চলাচল করবে। ফার্মগেটের খেজুরবাগানের কাছ থেকে বাসগুলো ছাড়া হবে। এরপর উড়ালসড়ক দিয়ে উত্তরা জসীমউদ্দিন রোড হয়ে খেজুরবাগান এলাকায় ফিরে আসবে। এভাবে সকাল ৭টা থেকে সারা দিন চলবে বাসগুলো। রাত পর্যন্ত যতক্ষণ যাত্রী পাওয়া যাবে ততক্ষণ চলবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে বিআরটিসির বাস চলা শুরু

কার্যক্রম চালু করে সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব আমিন উল্লা নুরী বলেন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে চললেও যাত্রীদের কাছ থেকে বিআরটিএর নির্ধারিত ভাড়াই নেওয়া হবে। আপাতত টোলের টাকা ভাড়ার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে না। ফার্মগেট প্রান্তের খেজুরবাগান থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটারের ভাড়া ৩৫ টাকা।

উত্তরার জসীমউদ্‌দীন এভিনিউ পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটারের ভাড়া ৪০ টাকা। অর্থাৎ কিলোমিটারপ্রতি ভাড়া ২ টাকা ৪৫ পয়সা। ই-টিকিটিং ব্যবস্থার কারণে বেশি ভাড়া নেওয়ার সুযোগও থাকছে না।

নতুন এ যাত্রাপথ নিয়ে সাধারণ মানুষ আশায় বুক বেঁধে থাকলেও উদ্বোধনের পর দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। সকাল কিংবা বিকেলের দিকে নিচের সড়ক যানবাহনে ঠাসা থাকলেও সম্পূর্ণ ফাঁকা দেখা যায় দ্রুতগতির উড়ালসড়ক এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। আবার যেসব যানবাহন নতুন এ পথ ব্যবহার করে এর মধ্যে গণপরিবহনের সংখ্যা প্রায় শূন্য। এ যেন শুধু ব্যক্তিগত গাড়ির চলার পথ হয়ে দাঁড়ায়।
 
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে বিআরটিসির বাস দিয়ে শুরু হলো যাত্রীসেবা। ছবিটি ভিডিও থেকে নেয়া
এমন প্রেক্ষাপটে সাধারণ মানুষকে দ্রুতগতির এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সুফল দিতে এগিয়ে এসেছে রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থা বিআরটিসি। সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) থেকে পরীক্ষামূলকভাবে সংস্থাটির ৮টি দ্বিতল বাস চলাচল শুরু  নতুন এ রুটে।
 
এ পথে ভাড়াও নির্ধারণ করা হয়েছে সহনীয়। খেজুর বাগান থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটারের ভাড়া ৩৫ টাকা। আর জসীমউদ্দিন পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটারের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০ টাকা। কিলোমিটার প্রতি ভাড়া দাঁড়াচ্ছে ২ টাকা ৪৫ পয়সা। ই-টিকিটিং ব্যবস্থা থাকায় বেশি ভাড়া নেয়ার সুযোগ থাকছে না। যাত্রী চাহিদার ভিত্তিতে পরবর্তীকালে বাসের সংখ্যা আরও বাড়ানোর কথা জানিয়েছে বিআরটিসি।