টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ আগের চেয়ে ৩ ধাপ এগিয়েছে। এই র‌্যাংকিং নিয়ে কাজ করা সংগঠন এস.ডি.এস.এন. এর সবশেষ তালিকায় বিশ্বের ১৬৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১০১। গত বছর ১৬৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিলো  ১০৪। এবছর এসডিজি অর্জনে বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে আছে ভারত ও পাকিস্তান। তালিকায় দেশ দু’টির অবস্থান যথাক্রমে ১১২ ও ১২৮।

সম্প্রতি সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সলুশন নেটওয়ার্কের (এসডিএসএন) এসডিজি রিপোর্টে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।

এসডিজি সূচকে চলতি বছর বাংলাদেশের সার্বিক স্কোর একশর মধ্যে ৬৫.৯। গত বছর এই স্কোর ছিল ৬৪.২। আর ২০২১, ২০২০, ২০১৯, ২০১৮ ও ২০১৭ সালে যথাক্রমে এই স্কোর ছিল ৬৩.৫, ৬৩.৫, ৬০.৯, ৫৯.৩ ও ৫৬.২।
 
এসডিএসএন-এর স্বাধীন মূল্যায়ন প্রতিবেদন ২০২৩ বিশ্লেষণে দেখা যায়, গুণগত শিক্ষা ও পরিমিত ভোগ ও টেকসই উৎপাদন অভীষ্ট অর্জনে বাংলাদেশ সঠিক পথে রয়েছে। এ ছাড়া দারিদ্র্য বিলোপ, ক্ষুধা মুক্তি, সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ, নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন, সাশ্রয়ী ও দূষণমুক্ত জ্বালানি ও শিল্প, উদ্ভাবন ও অবকাঠামো অভীষ্ট অর্জনে বাংলাদেশ পরিমিতরূপে উন্নতি করছে।
 
প্রতিবেদনে এসডিএসএন আরও জানায়, জেন্ডার সমতা, শোভন কাজ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, টেকসই নগর ও জনপদ, জলবায়ু কার্যক্রম, অভীষ্ট অর্জনে অংশীদারিত্ব অভীষ্ট অর্জনে বাংলাদেশ অপরিবর্তিত অবস্থায় রয়েছে। এসব ক্ষেত্রে আরও বেশি উন্নয়ন ঘটানোর সুযোগ রয়েছে।
 
এদিকে জলজ জীবন, স্থলজ জীবন ও শান্তি, ন্যায়বিচার ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান অভীষ্ট অর্জনে বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়ছে বলে জানায় এসডিএসএন। এ ছাড়া অসমতার হ্রাস অভীষ্ট অর্জনে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্তের ঘাটতি রয়েছে।
 
আর বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোকে এসডিজি বাস্তবায়ন সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত নিয়মিত হালনাগাদকরণের ওপর আরও জোর দেয়ার পরামর্শ দিয়েছে এসডিএসএন।
২০৩০ সালকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) পূরণের সময়সীমা ধরে নেয়া হয়েছে। ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে এর কার্যক্রম শুরু। এখানে লক্ষ্যমাত্রা আছে ১৭টি। সেগুলো হচ্ছে, দারিদ্র্য বিমোচন ও ক্ষুধামুক্তি, খাদ্যনিরাপত্তা ও উন্নত পুষ্টির লক্ষ্য অর্জন, টেকসই কৃষিব্যবস্থা, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন নিশ্চিত করা, সব বয়সের সবার কল্যাণে কাজ করে যাওয়া, অন্তর্ভুক্তি ও সমতাভিত্তিক মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা, আজীবন শিক্ষার সুযোগ তৈরি করা, লিঙ্গসমতা অর্জন, নারীর ক্ষমতায়ন ইত্যাদি।