সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান রহমানের দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। এছাড়া প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে এস আলম গ্র“পের বিরুদ্ধেও অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। সাবেক তিন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদের তদন্তও শুরু হয়েছে।
ক্ষমতার পালাবদলের পর সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে সঙ্গেই সরব হয়ে উঠেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। গত এক সপ্তাহে সরকারের প্রভাবশালী অন্তত প্রায় ৮৫ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের সিদ্ধান্ত সংস্থাটি। মামলাও হয়েছে ডজনের বেশি।
সাবেক মন্ত্রী-এমপি, তাদের পরিবারের সদস্য, রাজনৈতিক নেতা, প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা, ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে জোরেশোরে অনুসন্ধান করেছে দুদক। এই তালিকায় রয়েছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি। যারা শেখ হাসিনার সরকারের থেকে বিভিন্নভাবে সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেছেন। দুর্নীতির মাধ্যমে অল্প দিনের মধ্যে গড়েছেন অঢেল সম্পদ।
এবার সেই অনুসন্ধানের তালিকায় বৃহস্পতিবার নাম উঠে এসেছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা, বেক্সিমকো গ্রুপের কর্ণধার সালমানর। তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ সম্পদ অর্জন, ঋণখেলাপী, অর্থ পাচার, শেয়ার বাজার কেলেংকারী সহ রয়েছে আরও অসংখ্য অভিযোগ।
একই দিন আওয়ামীলীগ সরকারের সাবেক বন ও পরিবেশমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু ও সাবেক তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করেছে সংস্থাটি।
এছাড়া ওয়াসার সাবেক এমডি তাকসিম এ খান, সাবেক ডিবি প্রধান হারুন আর রশিদ ও তার স্ত্রীর বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা পাচার করে সিঙ্গাপুরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার অভিযোগে এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে
অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। বিএফআইইউ’র কাছে তথ্য চেয়ে দুদকের চিঠি।