অবশেষে ওয়ানডে অধিনায়কের নাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তামিম ইকবাল ওয়ানডে দলের অধিনায়কের পদ থেকে পদত্যাগ করার পর থেকেই জল্পনা-কল্পনা চলছিল কে হতে চলেছে বাংলাদেশের পরবর্তী অধিনায়ক। অবশেষে সাকিব আল হাসানকেই টাইগারদের অধিনায়ক হিসেবে ঘোষণা করেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে আগেই থেকেই অধিনায়কত্ব পালন করছেন, এবার ওয়ানডেতে লাল-সবুজের নেতৃত্বভার পেলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
কয়েকদিন আগে একবার নতুন অধিনায়ক নিযুক্ত করতে জরুরি সভায় বসেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। তবে সেদিন আলোচনার পরও ঠিক করা যায়নি টাইগারদের নেতৃত্ব। তবে বিসিবি পরিচালকরা মিলে সেদিন বোর্ড সভাপতির হাতেই নতুন অধিনায়ক নিযুক্ত করার দায়িত্ব তুলে দিয়েছিলেন। এরপর অবশেষে আজ আসন্ন এশিয়া কাপ এবং বিশ্বকাপকে সামনে রেখে সাকিবকেই অধিনায়ক হিসেবে ঘোষণা করেছেন বিসিবি বস।
যদিও দেশসেরা এই ক্রিকেটার ছাড়াও ওপেনার লিটন দাস ও অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে ছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত অভিজ্ঞতা বিবেচনায় সাকিবেই আস্থা রেখেছে দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিসিবি।
২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে মাশরাফি বিন মর্তুজার সহ-অধিনায়ক ছিলেন সাকিব। প্রথম টেস্টে মাশরাফি ইনজুরিতে পড়ায় সাকিবকে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক করা হয়। সেটাই ছিল নেতা সাকিবের প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট। সেখানে নিজেকে প্রমাণ করায় পরের সিরিজেই তাকে ভারমুক্ত করে আনুষ্ঠানিকভাবে নেতৃত্ব দেয় বিসিবি।
প্রথম দফায় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন প্রায় দুই বছর। ২০১১ সালে জিম্বাবুয়ে সফরের পর অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয় এই অলরাউন্ডারকে। এর ৬ বছর পর ২০১৭ সালে মাশরাফি বিন মর্তুজা টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরে গেলে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট দিয়ে আবারও নেতৃত্বে ফেরেন সাকিব। একই বছরে মুশফিকুর রহিমের কাছ থেকে দ্বিতীয়বারের মতো সাদা পোশাকের অধিনায়কের দায়িত্বও পান তিনি। এরপর ২০১৯ সালে আইসিসি কতৃক একই বছরের নিষেধাজ্ঞায় পড়ে দ্বিতীয় দফায় নেতৃত্ব হারান তিনি।
এরপর ২০২২ সালের জুনে টেস্ট ক্রিকেট দিয়ে আবারও দলের নেতৃত্বে ফেরেন সাকিব। মাস কয়কে পরেই টি-টোয়েন্টির নেতৃত্বও পান তিনি। এবার পেলেন ওয়ানডের অধিনায়কত্ব। তাতে প্রায় এক যুগ পর আবারও তিন ফরম্যাটে সাকিবের নেতৃত্বে খেলবে বাংলাদেশ।
সাদা পোশাকে তিন দফায় ১৯ ম্যাচে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন সাকিব। যেখানে ৪ জয়ের বিপরীতে ১৫ টেস্টে হেরেছে টাইগাররা। ওয়ানডেতে দুই দফায় ৫০ ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে অধিনায়কত্ব করেছেন সাকিব। যেখানে ২৩ জয়ের বিপরীতে ২৬ হার। বাকি একটি ম্যাচে কোনো ফলাফল আসেনি। আর টি-টোয়েন্টিতে তিন দফায় সাকিবের নেতৃত্বে ৩৯ বার মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। যেখানে ২৩ হারের বিপরীতে ১৬ বার হাসি মুখে মাঠ ছেড়েছে টাইগাররা।