প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কক্সবাজারকে আকর্ষণীয় করে গড়ে তুলতে মহাপরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। এজন্য সড়ক, রেল ও আকাশপথের যোগাযোগ উন্নত করা হচ্ছে। কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বহুতল অফিস ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বুধবার (১৮ই মে) গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী জানান, ভবিষ্যৎতে কক্সবাজারই হবে আকাশপথে আন্তর্জাতিক রি-ফুয়েলিংয়ের অন্যতম কেন্দ্র।
পৃথিবীর দীর্ঘতম বালুকাময় সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। কক্সবাজারের জীব-বৈচিত্র্য রক্ষা এবং সার্বিক উন্নয়নে ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। বুধবার সকালে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ‘কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বহুতল অফিস ভবনের’ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কক্সবাজারকে পর্যটনমুখি করে তুলতে চট্টগ্রাম পর্যন্ত মেরি ড্রাইভ তৈরি, ঢাকা ও সিলেট থেকে সরাসরি রেল যোগাযোগ এবং দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দর থেকে সরাসরি বিমান চলাচলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, কক্সবাজারের বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিকভাবে গড়ে তোলা হচ্ছে। যাতে ভবিষ্যৎএ পশ্চিমাদেশ থেকে প্রাচ্যে যাওয়ার পথে এই বিমানবন্দর থেকেই উড়োজাহাজগুলো জ্বালানি নিতে পারে।
এছাড়া, মৎস্য-জীবীদের জন্য আধুনিক শুটকি মাছের হাট করা এবং উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে লবণ চাষের উৎপাদন বাড়ানোর কথাও বলেন তিনি।
কক্সবাজারকে বিশ্বের কাছে আকর্ষণীয় করতে এবং জীব- বৈচিত্র্য রক্ষায় যত্র-তত্র স্থাপনা না করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় তিনি বলেন, কক্সবাজারে আমরা অনেকগুলো প্রকল্প নিয়েছি। একটা মাস্টার প্লান করার আমরা নির্দেশ দিয়েছি পুরো কক্সবাজার ঘিরে। এর উন্নয়ন যেন অপরিকল্পিতভাবে না হয়ে পরিকল্পিতভাবে হয়।’