কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চকরিয়া বরইতলি আমতলী এলাকায় লরির ধাক্কায় সিএনজি যাত্রী মা-মেয়ে ও অনাগত সন্তান নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি লরি চালক মাসুদুর রহমান বাদশাকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১৫।

মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থানার ছোট কুমিরা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার হওয়া ট্যাংক লরি চালক নোয়াখালী জেলার সুদারাম থানার নেজপুর এলাকার রফিক উল্লাহর ছেলে মাসুদুর রহমান বাদশা। বুধবার সকালে র‌্যাব কক্সবাজার সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-১৫ এর অধিনায়ক মেজর সৈয়দ সাদিকুল হক।

মেজর সৈয়দ সাদিকুল হক জানান, গত ২৪ আগস্ট বিকেলে কক্সবাজারের চকরিয়া বরইতলী ইউনিয়নের বানিয়ারছড়া আমতলী এলাকার চট্রগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে চট্টগ্রামমুখী একটি ট্যাংক লরি  সিএনজি চালিত অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশাটি খাদে পড়ে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এসময় অটোরিকশায় থাকা ৬ যাত্রী গুরুতর আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে পেকুয়া উপজেলার মগনামা ঘাট এলাকার বাসিন্দা আব্দুস সালামের স্ত্রী রোকেয়া বেগম (৪৫) ও তার অন্তঃসত্ত্বা মেয়ে জেসমিন আক্তার নিহত হন। লরির চালক ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত পালিয়ে যান।

তিনি আরও জানান, ঘটনার পরপর নিহত রোকেয়া বেগমের স্বামী আব্দুস সালাম বাদী হয়ে লরিটির নাম না জানা চালককে আসামি করে চকরিয়া থানায় সড়ক পরিবহন আইনে মামলা করেন। পরে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে র‌্যাব জানতে পারে লরির চালক মাসুদুর রহমান বাদশা চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে অবস্থান করছে। চট্টগ্রাম র‌্যাব-৭ কে সঙ্গে নিয়ে মঙ্গলবার রাতে সীতাকুন্ডের ছোট কুমিরা এলাকা থেকে অভিযুক্ত মাসুদুর রহমান বাদশাকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞেসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তি লরিটি দ্রুত ও বেপরোয়া গতিতে চালানোর ফলে দুর্ঘটনা হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন।