প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কমিউনিটি ভিত্তিক প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার সুবিধা বিশ্ব ব্যাপি ছড়িয়ে দিতে সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। জাতিসংঘের ৭৮তম সাধারণ অধিবেশনের সাইড লাইনে ‘শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ অব কমিউনিটি ক্লিনিক শীর্ষক’ এক বৈঠকে একথা বলেন তিনি। এসময় কমিউনিটি ক্লিনিককে অনগ্রসর বিশ্বের জন্য মডেল হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ায় জাতিসংঘের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এ ধরনের স্বাস্থ্যসেবায় বৈশ্বিক সহায়তা প্রয়োজন।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকালে জাতিসংঘের ৭৮তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে  জাতিসংঘের সদর দপ্তরে কমিউনিটি ক্লিনিক নিয়ে আয়োজিত সাইড লাইন বৈঠকে যোগ দেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা অর্জনের চাবিকাঠি কমিউনিটিভিত্তিক প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা। বহুপাক্ষিক অর্থায়ন সংস্থাগুলোসহ উন্নয়ন অংশীদারদের প্রতি উন্নয়নশীল বিশ্বে কমিউনিটি-ক্লিনিক স্বাস্থ্যসেবায় সহায়তার হাত প্রসারিত করার আহ্বান জানাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, টেকসই উন্নয়ন ও সর্বজনীন স্বাস্থ্যের বিষয়ে সম্মিলিত কাজকে ত্বরান্বিত করার জন্য এ বছর শপথ নেওয়ার সময় আপনাদের উপস্থিতিতে আমরা উৎসাহিত বোধ করছি।

শেখ হাসিনা বলেন, গ্লোবাল সাউথের উদীয়মান কণ্ঠস্বর হিসেবে বাংলাদেশ অর্থপূর্ণ আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বের সম্ভাব্য উপায় হিসেবে ইস্যুটিতে চ্যাম্পিয়ন হবে। আগ্রহীদের সঙ্গে উপলব্ধি ও দক্ষতা বিনিময় করতে প্রস্তুত বাংলাদেশ। সব সুখের মূলে রয়েছে স্বাস্থ্য। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে আমরা চারদিকে আনন্দ ছড়িয়ে দিতে চাই।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, আশা করি এই সাইড ইভেন্ট স্বাস্থ্য, আমাদের জনগণ ও কমিউনিটির কল্যাণে অভিন্ন অঙ্গীকারের আরেকটি নিদর্শন হয়ে থাকবে।

তিনি বলেন, ২০১৮ সালে পার্লামেন্টে কমিউনিটি ক্লিনিক হেলথ সাপোর্ট ট্রাস্ট অ্যাক্ট পাশ হয়েছে। যাতে এর কার্যক্রম ও ফান্ডিং পদ্ধতি আরও সহজতর করা যায়। এ সময় প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসেবা তৃণমূলে পৌঁছে দিতে কমিউনিটি ক্লিনিকের জন্য পাঁচটি অগ্রাধিকারের কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক একটি ধারণা, যা বাংলাদেশে সময়ের পরীক্ষায় দাঁড়িয়ে গেছে। এটি এখন প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ মডেলটিকে বাকি উন্নয়নশীল বিশ্বের জন্য একটি সর্বোত্তম অনুশীলন হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

‘শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ অব কমিউনিটি ক্লিনিক: ইনোভেটিভ এপ্রোচ এচিভিং ইউনিভার্সাল হেলথ কভারেজ ইনক্লুসিভ অব মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড ডিজঅ্যাবিলিটি’ শীর্ষক এই সাইড-ইভেন্টে উপস্থিত ছিলেন ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) বিষয়ভিত্তিক দূত সায়মা ওয়াজেদ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. এ কে আব্দুল মোমেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, সিনিয়র পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন ও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার প্রমুখ। খবর বাসসের।