কয়লা সংকটের কারণে উৎপাদন অব্যাহত রাখতে পারছে না পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র। এটি দেশের সবচেয়ে বড় তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র। জ্বালানি সংকটে ৫ই জুনের পর পটুয়াখালীর পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র আপাতত বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি জানিয়েছেন, কয়লা আমদানি করতে আরও অন্তত ২০ থেকে ২৫ দিন সময় লাগবে।
সাভারের খাগান এলাকায় শনিবার দুপুরে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে নবায়নযোগ্য শক্তি গবেষণা ল্যাবরেটরি ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা জানান।
নসরুল হামিদ বলেন, ‘কয়লার অভাবে একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র (পায়রা) অর্ধেক বন্ধ আছে। আগামী ৫ তারিখের পর বাকি অর্ধেকও বন্ধ হয়ে যাবে। এতে করে সিস্টেমে একটি বড় অংশ বিদ্যুৎ না পাওয়ায় কিছুটা জনদুর্ভোগ বেড়েছে। বর্তমানে প্রায় ১ হাজার ৭০০ মেগাওয়াটের ওপরে লোডশেডিং চলছে’।
নসরুল হামিদ বলেছেন, ‘কয়েকটি পাওয়ার প্ল্যান্ট কাজ না করাতে লোডশেডিং বেড়েছে। কিছুদিন এ পরিস্থিতি থাকবে।’
জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে বিদ্যুৎ সংকটের কারণে মানুষ কষ্টে আছে। সরকারের পক্ষ থেকে সংকট সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। বর্তমানে প্রায় দেড় হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং হচ্ছে। এটি কিছুদিন চলবে।
তিনি বলেন, জ্বালানি চাহিদা আগের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ চাহিদা পূরণে নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে নজর দিচ্ছি আমরা। কৃষি জমি নষ্ট না করে সৌরবিদ্যুৎ তৈরি করতে চাচ্ছে সরকার। উন্নত বিশ্ব থেকে শিক্ষা নিয়ে কাজ করছি। সমস্যার সমাধান করতে হবে আমাদের দেশের বাস্তবতার আলোকে।
বিদ্যুৎ জ্বালানি খাতে বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণ বাড়ছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। এসময় সবাইকে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশের আহ্বায়ক ও পররাষ্ট্রবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নাহিম রাজ্জাক। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. সবুর খান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদের ডিন ড. এম সামসুল আলম বক্তব্য দেন।