করোনাকালীন সংকটে ক্রীড়াঙ্গনের মানুষদের পাশে দাঁড়ানোয় আব্দুল গাফফারকে করোনা যোদ্ধা অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়েছে। বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (বিএসজেএ) গতকাল তার হাতে তুলে দেয় করোনা যোদ্ধা’র পুরস্কার। মিরপুরের শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে হয়ে যাওয়া বিএসজেএ অ্যাওয়ার্ড নাইটে আবদুল গাফফারের হাতে পুরস্কার তুলে দেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।
করোনা মহামারীতে যখন গোটা বিশ্ব থমকে যায়, তখন স্থবির হয়ে গিয়েছিল ক্রীড়াঙ্গনও। তাতে পেশাদার খেলোয়াড়রাসহ সাবেক অনেক ক্রীড়াবিদকেই কাটাতে হয়েছে কঠিন সময়, ছিল আর্থিক সংকটও। এমন কঠিন সময়ে ক্রীড়াঙ্গনের মানুষদের পাশে দাঁড়ান সাবেক ফুটবলার ও রূপায়ণ গ্রুপের উপদেষ্টা আব্দুল গাফফার। তার মাধ্যমে ক্রীড়াঙ্গনের অর্ধশত’র বেশি ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী, ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী অথবা করপোরেট প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে আর্থিক ও নানা সাহায্য পেয়েছেন।
২০২০ সালে খেলা মাঠে গড়িয়েছে খুব কম সময়। করোনা মহামারীতে সবাই ঘরবন্দি থাকায় অনেকেরই আয় রোজগারে টান পড়েছে। খেলোয়াড়দের আয়ের উৎস মাঠের খেলা, সেটাই যখন বন্ধ তখন উপায় কী? এই সংকটকালীন ত্রাণকর্তার ভূমিকায় হাজির হয়েছিলেন গাফফার। কেউ অর্থকষ্টে আছেন, কারও চিকিৎসা হচ্ছে না, এমনকি মারা যাওয়ার পর দাফন কাফনও জুটছে না; এমন সময়ে ছুটে গেছেন গাফফার।
প্রধানমন্ত্রী, ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী এবং সমাজের দানশীল মানুষদের কাছ থেকে সাহায্য সংগ্রহ করে যাদের প্রয়োজন তাদের হাতে পৌঁছে দিয়েছেন। গাফফারকে পাশে পেয়ে অনেক প্রয়াত ক্রীড়াবিদের পরিবার পেয়েছে আরেকটু সচ্ছলভাবে বাঁচার অবলম্বন।
পুরস্কারপ্রাপ্তির পর প্রতিক্রিয়ায় গাফফার জানান, ‘যে কোনো পুরস্কারই মানুষকে অনুপ্রাণিত করে। করোনা মহামারীর কঠিন সময়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী এবং রূপায়ণ গ্রুপের মতো অনেক করপোরেট প্রতিষ্ঠান তাদের সেবার হাতকে সম্প্রসারিত করেছে। আমি চেয়েছি ক্রীড়াঙ্গনের সেই সব মানুষদের পাশে দাঁড়াতে, যারা কখনো মুখ ফুটে সাহায্য চাইবেন না। আমার কৃতজ্ঞতা প্রধানমন্ত্রী, ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ও রূপায়ণ গ্রুপের প্রতি। আমি এভাবে আরও বেশি মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাই, মানুষের সেবা করে যেতে চাই।’
প্রায় এক দশকের বিরতির পর বিএসজিএ আয়োজন করেছে তাদের অ্যাওয়ার্ড নাইট, যেখানে ২০১৩ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত সময়ের অনেক ক্রীড়াবিদকে কয়েকটি বিভাগে পুরস্কার দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিল বসুন্ধরা কিংস।