কাতার বিশ্বকাপের ফাইনাল নিশ্চিত করলো আর্জেন্টিনা।লিওনেল মেসি ও আলভারেজের জোড়া গোলে ক্রোয়েশিয়াকে ৩-০ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপ অর্জনের দৌঁড়ে আরও এক ধাপ এগুলো মেসিরা। সেমিফাইনালের প্রথমার্ধের ৩৪ মিনিটে পেনাল্টি গোলে লিড নেয় আর্জেন্টিনা। মেসির দুর্দান্ত এই গোলের পর ৩৯ মিনিটে ডিয়েগো ম্যারাডোনাকে মনে করিয়ে দেওয়া এক গোলে ব্যবধান ২-০ করেন তরুণ তুর্কি আলভারেজ। ২-০ গোলের লিড নিয়ে প্রথমার্ধ শেষ করে আলবিসেলেস্তেরা।পরে দ্বিতীয়ার্ধে নেমে ক্রোয়েশিয়ার রক্ষণভাগকে কাবু করে ফেলেন। ক্রোয়েশিয়াও কয়েকটি আক্রমণ করেছে কিন্তু সফলতা পায়নি। বরং মেসির পাসে আরও একটি গোল হজম করতে হয় তাদের। অবশেষে ৩-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টিনা।
দুই পরিবর্তন নিয়ে এদিন একাদশ সাজান আর্জেন্টাইন কোচ স্কালোনি। কিন্তু ম্যাচ যত গড়িয়েছে ততই মিডফিল্ডে আধিপত্য দেখিয়েছে ক্রোয়েশিয়া।ম্যাচের শুরু থেকে ক্রোয়েশিয়া বল দখলে রাখলেও ম্যাচের সুযোগ তৈরি করতে পারতেছিল না ক্রোয়েশিয়া। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠে আর্জেন্টিনা।
ম্যাচের ২৬ মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় আর্জেন্টিনা। ডি বক্সের বাইরে থেকে এনজো ফার্নান্দেজের দূরপাল্লার শট রুখে দেন লিভাকোভিচ। ম্যাচের ৩৩ মিনিটেই এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। ম্যাচের ৩২ মিনিটে এনজো ফার্নান্দেজের দারুণ এক পাস থেকে ডি বক্সের ভেতর বল পান আলভারেজ। আলভারেজকে ফাউল করে বসেন ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষক লিভাকোভিচ। রেফারি সাথে সাথে পেনাল্টির বাঁশি বাজান।
স্পট কিক থেকে গোল করে আর্জেন্টিনাকে ৩৩ মিনিটে ১-০ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে দেন লিওনেল মেসি। এই বিশ্বকাপে এটি তার ৫ম গোল। তাছাড়া সব মিলিয়ে বিশ্বকাপে ১১টি গোল করলেন মেসি।
৩৯তম মিনিট মাঝমাঠ থেকে মেসি বল বাড়িয়ে দেন প্রতিপক্ষের বক্সের কাছাকাছি থাকা আলভারেসের দিকে। বল পেয়েই সোজা ক্রোয়াটদের রক্ষণে ঢুকে পড়েন আলভারেস। কয়েকজন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে কাছ থেকে আলতো টোকায় বল জালে জড়িয়ে দেন তরুণ স্ট্রাইকার। যদিও এতে কিছুটা ভাগ্যের ছোঁয়াও ছিল। এরপর প্রথমার্ধের একদম শেষদিকে অল্পের জন্য গোলের দেখা পায়নি ক্রোয়েশিয়া। ফলে দুই গোল হজম করেই বিরতিতে যায় তারা।
এগিয়ে থাকা আর্জেন্টিনা বিরতির পর হয়ে ওঠে আরও দুর্দান্ত। একের পর এক আক্রমণ করে ক্রোয়েশিয়ার রক্ষণভাগের পরীক্ষা নিচ্ছিল দলটি। ৫৮তম মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়াতে পারত তারা। ক্রোয়াট ডিফেন্ডারদের ড্রিবল করে বল নিয়ে আলভারেসের সঙ্গে দেওয়া নেওয়ার এক পর্যায়ে দশ গজ দূরে থেকে শট নেন মেসি। সেটি ঝাঁপিয়ে ঠেকান লিভাকোভিচ।
৬৯তম মিনিটে আবারও গোল করেন আলভারেস। সতীর্থ থেকে বল পেয়ে ক্রোয়াট ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বক্সে নেন মেসি। বাইলাইন থেকে পাস দেন আলভারেসকে। দারুণ এক শটে লক্ষ্যভেদ করতে ভুলেননি ম্যানচেস্টার সিটির এই ফরোয়ার্ড। শেষদিকে আর কোনো গোল না হলে ৩-০ ব্যবধানের জয় নিয়েই ফাইনালে কোয়ালিফাই করে আর্জেন্টিনা।
আগামী রোববার (১৮ ডিসেম্বর) দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হওয়া ফ্রান্স-মরক্কোর মধ্যে বিজয়ী দলের সঙ্গে ফাইনালে মুখোমুখি হবে লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা।