কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও স্ত্রী সোফি গ্রেগোয়ারের মধ্যে বিচ্ছেদ হয়েছে। তারা দু’জনেই বিচ্ছেদসংক্রান্ত আইনি নথিতে সই করেছেন। এর মধ্য দিয়ে এই দম্পতির দেড় যুগের বিবাহিত জীবনের অবসান ঘটল।
বুধবার (২ আগস্ট) সিএনএন জানিয়েছে, জাস্টিন তার ইনস্টাগ্রামে বিচ্ছেদসংক্রান্ত এই ঘোষণা দেন। ইনস্টাগ্রামের পোস্টে ট্রুডো বলেন, অনেক অর্থপূর্ণ ও কঠিন আলাপের মাধ্যমে আলাদা হওয়ার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।
তবে বিবাহবিচ্ছেদ হলেও তারা গভীর ভালোবাসা ও সম্মান নিয়ে একে অপরের পরিবারের ঘনিষ্ঠ সদস্য হিসেবে থাকবেন বলেও ইনস্টাগ্রামে দেওয়া পোস্টে উল্লেখ করা হয়।
৫১ বছর বয়সী জাস্টিন ট্রুডো কানাডার অন্যতম বিখ্যাত রাজনীতিবিদ, যিনি ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। ৪৮ বছর বয়সী সোফি একজন প্রাক্তন মডেল ও টিভি উপস্থাপক। তাঁরা ২০০৫ সালে মন্ট্রিয়লে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের তিনটি সন্তান রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তারা দু’জনেই বিচ্ছেদের কাগজে সই করেছেন। তবে তারা পরিবার হয়ে থাকবেন এবং আগামী সপ্তাহে তারা পরিবার হিসেবে ছুটি কাটাতে যাবেন বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
এ ছাড়া তিন সন্তান জাভিয়ের (১৫), এলা-গ্রেস (১৪) ও হ্যাড্রিয়েনের (৯) মঙ্গলের কথা বিবেচনা করে তাদের বিষয়ে গোপনীয়তা বজায় রাখার আহ্বানও জানিয়েছেন আলাদা হয়ে যাওয়া এই দম্পতি।
জাস্টিন ট্রুডো কানাডার দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী, যিনি পদে থাকাকালে বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছেন। আগের রেকর্ডটিও ট্রুডোর পরিবারের। জাস্টিন ট্রুডোর বাবা পিয়েরে ট্রুডো ও মা মার্গারেট ট্রুডো ১৯৭৯ সালে আলাদা হয়ে যান এবং ১৯৮৪ সালে ট্রুডোর বাবার প্রধানমন্ত্রিত্বের শেষ বছরে তাদের বিয়ে বিচ্ছেদ ঘটে।