ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কিংবদন্তি পেলে আর নেই! বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) ব্রাজিলের সাও পাওলোর আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে ৮২ বছর বয়সে মারা গেলেন ব্রাজিলিয়ান এই কিংবদন্তি। পেলের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন তাঁর কন্যা কেলি নাসিমেন্তো।

ফুটবলের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে অনেকের কাছে প্রশংসিত পেলে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে স্বাস্থ্যগত সমস্যায় ভুগছিলেন। ২০১৮ বিশ্বকাপ চলাকালে তাঁকে হুইলচেয়ারে বসা অবস্থায় দেখা যায়। সেই টুর্নামেন্টের এক মাস পরেই পেলেকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।

গত ২৯শে নভেম্বর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় সাও পাওলোর আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে স্থানান্তর করা হলো ‘এন্ড অব লাইফ প্যালিয়েটিভ কেয়ার ইউনিটে’।

১৯৪০ সালের ২৩শে অক্টোবর  ব্রাজিল ও ফুটবল বিশ্ব আলোকিত করতে দুনিয়ায় আগমন হয়েছিল পেলের। ভক্তদের কাছে কালো মানিক খ্যাত পেলের গুণেই সে সময়ের ব্রাজিল ছিল অপ্রতিরোধ্য। ব্রাজিলের হয়ে জিতেছেন তিন তিনটি বিশ্বকাপ। তার সময়ে টানা ২ বার বিশ্বকাপ জেতা একমাত্র দলও ব্রাজিল। তিনি ৫৮ এবং ৬২তে টানা দুইবার বিশ্বকাপ জেতার পর আরেকটি জিতেছিলেন ১৯৭০ সালে।

পেলে নিজের ক্যারিয়ারে একমাত্র কোপা আমেরিকা ট্রফিই জিততে পারেনি। ব্রাজিলের হয়ে পেলের গোল ৯৫টি। তার মধ্যে ৭৭টি অফিসিয়াল এবং বাকিগুলো আনঅফিশিয়াল। বিশ্বের একমাত্র তারকা যার হ্যাটট্রিক ৯২টি।

বর্ণিল এক জীবন কাটিয়েছেন পেলে। পেয়েছেন অনেক স্বীকৃতি। ফিফা বিশ্বকাপে ব্রাজিলের এই মহাতারকার গোল ১২টি। ফুটবল ক্যারিয়ারে অফিসিয়াল এবং আনঅফিসিয়াল মিলে ১৩৬৩ ম্যাচে ১২৮১ গোল করেছেন। ১৯৯৯ সালে শতাব্দীর সেরা অ্যাথলেট হিসেবে স্বীকৃতি পান আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির কাছ থেকে। ফিফার ‘প্লেয়ার অব দ্য সেঞ্চুরি’ হয়েছেন ম্যারাডোনার সঙ্গে যৌথভাবে।

ক্লাব ক্যারিয়ারের পুরোটাই তিনি কাটিয়েছেন সান্তোসে। ১৫ বছর বয়সে ক্লাব ও এক বছর পর জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক হয় তাঁর। এরপর দেশের হয়ে ১৯৫৮, ১৯৬২ ও ১৯৭০ এর বিশ্বকাপ জেতেন পেলে। ১৯৭৭ সালে ফুটবলকে বিদায় বলেন এই কিংবদন্তি।