রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বে বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে হাঁটছে।

আজ মঙ্গলবার (২২শে নভেম্বর) ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স ২০২২ ও আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্স ২০২২ এর প্রতিনিধিদলের উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে এসব কথা বলেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

সফলভাবে কোর্স সম্পন্ন করায়, এই কোর্সে অংশগ্রহণকারী সকল সদস্যকে অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘এনডিসিতে অবস্থানকালে আপনারা অত্যন্ত মূল্যবান পেশাগত জ্ঞান অর্জন করেছেন এবং এখান থেকে আপনাদের জ্ঞানভা-ারে ব্যাপক জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা যুক্ত হয়েছে।’

রাষ্ট্রপতি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে দিক্ষিত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী, যোগ্য ও বিচক্ষণ নেতৃত্বে বাংলাদেশ অসামান্য আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন অর্জন করেছে। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে আছে। আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে সক্রিয় অংশীদার হতে- সরকার সুনির্দিষ্ট ও সমন্বিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।’ বাংলাদেশকে এই অঞ্চলের একটি দ্রুত বর্ধনশীল উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে অভিহিত করে আবদুল হামিদ বলেন, বেশকিছু বাধা সত্ত্বেও বাংলাদেশ কয়েক বছর ধরে উচ্চ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশ শান্তিতে বিশ্বাসী উল্লেখ করে রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, ‘আমি গর্বের সাথে জানাচ্ছি যে, পারস্পারিক শ্রদ্ধাবোধ ও পেশাগত উৎকর্ষতার মাধ্যমে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী ও আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা বিশ্বশান্তি ও ঐক্য বজায় রাখতে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন।’

বর্তমান বিশ্ব উদ্ভাবন, পরিবর্তন ও অগ্রগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে- উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, বাংলাদেশ জাতির পিতার বৈদেশিক নীতি অনুসরণ করে, বিশ্বের সকল রাষ্ট্রের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন ও বজায় রাখতে সদাতৎপর। রাষ্ট্রপতি বলেন, এই পরিবর্তিত বিশ্বে জাতীয় উন্নয়নের পাশাপাশি জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুটিও সমান গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আর এজন্য, রাষ্ট্রীয় প্রশাসন ও জাতীয় নিরাপত্তায় নিযুক্ত কর্মকর্তাদের জন্য একই সাথে অর্থনৈতিক মুক্তি, জাতীয় উন্নয়ন ও জাতীয় নিরাপত্তার জ্ঞান অর্জন ও প্রয়োগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আবদুল হামিদ বলেন, এখানে অবস্থানকালে এই গ্রাজুয়েটদের হৃদয়ে বাংলাদেশের প্রতি মমতা ও এ দেশকে মূল্যায়ণের বোধ সৃষ্টি হয়েছে, তা তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে আমাদের শুভেচ্ছা রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করতে সহায়ক হবে।

এশিয়া, আফ্রিকা ও ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের মোট ১৭টি দেশ থেকে প্রায় ৩২ বিদেশী অংশগ্রহণকারী কোর্সগুলোতে অংশ নেয়।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে উপস্থিতি ছিলেন- ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের কমান্ড্যান্ট লে. জেনারেল আকবর হোসেন, উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাগণ এবং বঙ্গভবনের সংশ্লিষ্ট সচিবগণ।