ম্যাচের অধিকাংশ সময়জুড়ে বাংলাদেশকে চাপে রেখেছে কিরগিজস্তান। প্রথমার্ধেই ২ গোল আদায় করে নেয় তারা। দ্বিতীয়ার্ধেও সেই ধারা অব্যাহত ছিল। র‌্যাংকিংয়ে অনেক এগিয়ে থাকা কিরগিজরা দেখিয়েছে নিজেদের শক্তিমত্তা। তাতেই তিন জাতি ফুটবল প্রতিযোগিতায় নিজেদের শেষ ম্যাচে ৪-১ গোলে হেরেছে জেমি ডের দল।

আজ (মঙ্গলবার) কিরগিজস্তানের রাজধানী বিশকেকের দোলন ওমরজাকিভ স্টেডিয়ামে ছিল দর্শকের সমারোহ। স্বাগতিক দর্শকের উপস্থিতিতে শুরু থেকে কিরগিজরা আধিপত্য দেখাতে থাকে। কোনও সময় দুই উইং দিয়ে আক্রমণ করেছে, আবার সেটপিস পেয়ে তা কাজে লাগানোর চেষ্টা ছিল। গতি কিংবা পাসিং ছাড়াও সব দিক দিয়েই তারা বেশ এগিয়ে থাকে।

বিপরীতে একাদশে চার পরিবর্তন এনে ৩-৪-৩ কিংবা ৫-৪-১ ছকে প্রতিপক্ষের আক্রমণ নস্যাৎ করতেই ব্যস্ত থাকতে হয়েছে জামাল ভূঁইয়াদের। তবে এই ম্যাচে বল পায়ে রেখে ফাঁকে ফাঁকে আক্রমণে উঠে স্বাগতিক গোলকিপারের কিছুটা পরীক্ষাও নিয়েছে লাল-সবুজের দল।

ম্যাচ ঘড়ির ১০ মিনিটে কিরগিজস্তান এগিয়ে যায়। আলিমার্দন সুখোরভ ফ্রিকিক থেকে এলদার মলদোজুনুভ কাছের পোস্ট দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন।

৪ মিনিট পর বাংলাদেশ অ্যাটাকিং থার্ডে বল নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু গোলকিপারকে পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি। পরের মিনিটে অধিনায়ক জামালের সরাসরি কর্নার গোলকিপার তালুবন্দি করেন।

১৬ মিনিটে কিরগিজদের একটি প্রচেষ্টা বাংলাদেশের এক ডিফেন্ডার প্রায় গোললাইন থেকে ক্লিয়ার করেন। ২৪ মিনিটে কানাডা প্রবাসী রাহবারের জায়গায় সোহেল রানা নামেন মাঠে।

ব্যবধান বাড়াতে আক্রমণ অব্যাহত ছিল কিরগিজদের। ৪০ মিনিটে সফলও হয়েছে। বক্সের ভেতরে সতীর্থের ব্যাক পাস থেকে আলিমার্দান সুখোরভ প্লেসিং করে দেন।

বিরতির পর নেমেই আবার কিরগিজস্তানের গোল। ৪৬ মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে সতীর্থের অ্যাসিস্টে তুরশোনালি রুস্তামাভব প্লেসিং করে দেন। ৩ গোলে পিছিয়ে থেকে বাংলাদেশ ৫২ মিনিটে একটি শোধ দেয়। রহমত মিয়ার লম্বা থ্রো-ইন ডিফেন্ডাররা ঠিকমতো ক্লিয়ার করতে পারেননি। মাহবুবুর রহমান সুফিল ফাঁকায় পেয়ে লক্ষ্যভেদ করেছেন।

৫৭ মিনিটে বাংলাদেশের আরও একটি প্রচেষ্টা গোলকিপার তালুবন্দি করেন। কিরগিজস্তান ৬৯ মিনিটে চতুর্থ গোলটি পেতে পারতো। বক্সের বাইরে থেকে তাদের একজনের জোরালো শট ক্রসবারে লেগে ফিরে।

৮৬ মিনিটে শেখ রাসেলে খেলা বখতিয়ারের ফ্রিকিক গোলকিপার আনিসুর রহমান জিকো বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে প্রতিহত করেন। তবে তিন মিনিট পর কর্নার থেকে বখতিয়ারের হেড আর রুখতে পারেননি। বল জড়িয়ে যায় জালে।

দুই ম্যাচ জিতে কিরগিজস্তান এই প্রতিযোগিতায় সেরা হয়েছে। ফিলিস্তিন এক ম্যাচে জয় ও হার নিয়ে রানার্সআপ। আর বাংলাদেশ টানা দুই ম্যাচেই হার দেখেছে।

আগামী ৯ সেপ্টেম্বর কিরগিজস্তানের অনূর্ধ্ব-২৩ দলের বিপক্ষে একটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।