নড়াইলে কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে প্রতিবেশী চাচার যাবজ্জীবন ও চাচিকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বুধবার সন্ধ্যায় নড়াইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক সানা মো. মাহ্রুফ হোসাইন এ আদেশ দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত লিয়াকত মোল্যা (৬৯) যশোরের ঘারপাড়া থানার বল্লামুখ গ্রামের মৃত ফাজেল মোল্যার ছেলে (বর্তমান ঠিকানা নড়াইল সদরের বামনহাট গ্রাম) এবং লিয়াকত মোল্যার স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৫৮)।

মামলার বিবরণে জানা যায়, লিয়াকত মোল্যা পার্শ্ববর্তী বাড়ির ১২ বছর বয়সি এক কিশোরীকে ধর্ষণ করে। এতে ওই কিশোরী গর্ভবতী হয়ে পড়ে। ২০২১ সালের ৪ মার্চ, লিয়াকত গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য কিশোরীকে ওষুধ খাওয়ায়। এতে ওই কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়লে তার বড়বোন বিষয়টি বুঝতে পারে।

এ সময় কিশোরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায়, ৬-৭ মাস আগে বাড়ি ফাঁকা পেয়ে প্রতিবেশী চাচা লিয়াকত মোল্যা টাকার লোভ দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় কিশোরীর বড়ভাই বাদী হয়ে নড়াইল সদর থানায় ৬ মার্চ ২০২১ তারিখে লিয়াকত মোল্যা ও তার স্ত্রী সুফিয়া বেগমকে আসামি করে একটি ধর্ষণ মামলা করে।

সাক্ষ্য শেষে আসামি লিয়াকত মোল্যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে যাবজ্জীবন ও এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেন।

মামলার অপর আসামি লিয়াকত মোল্যার স্ত্রী সুফিয়া বেগমকে এ কাজে সহযোগিতার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে সাত বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।