বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের দশম ম্যাচে ঘরের মাঠেও ধরাশায়ী সিলেট স্ট্রাইকার্স। চেনা দর্শকদের সামনে, উচ্ছ্বাসভরা সমর্থন আর ভালোবাসার শক্তিতেও পারলো না ঘুরে দাঁড়াতে। ভাঙতে পারলো না ব্যর্থতার বৃত্ত। এবার হার কুমিল্লার কাছে। ফলে টানা তিন হারে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতেই পরে রইলো মাশরাফীর দল

প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩০ রানের সংগ্রহ পায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। চরম ব্যাটিং ব্যর্থতায় কুমিল্লার কাছে ৫২ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে স্বাগতিকরা। তিন ম্যাচে এটি কুমিল্লার দ্বিতীয় জয়, তিন ম্যাচে সবকটিতেই হারলো সিলেট।

ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অফস্পিনার আলিস আল ইসলামের তোপের মুখে পড়ে ২৮ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে সিলেট। নাজমুল হোসেন শান্ত (৫), মোহাম্মদ মিঠুন (০), ইয়াসির আলি (১), বেন কাটিং (১), মাশরাফি বিন মর্তুজা (০)-দাঁড়াতে পারেননি কেউই।
জাকির হাসান কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ৩৪ বলে ৪১ রান করে অষ্টম ব্যাটার হিসেবে তিনিও ফিরলে শেষ আশাটাও শেষ হয়ে যায় সিলেটের। ১৬.২ ওভারে ৭৮ রানে অলআউট হয় স্বাগতিকরা। আলিস আল ইসলাম ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রান দিয়ে নেন ৪টি উইকেট। সমান ওভারে ১৭ রানে ২ উইকেট পান রস্টন চেজ।

এর আগে শুক্রবার দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নামে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। প্রথম ওভারেই জোড়া চার হাঁকিয়ে ভিন্ন কিছুর আভাস দেন লিটন, তবে পরের বলেই তাকে ফেরান বেন কাটিং। তবে ইমরুল-রিজওয়ান জুটিতে পাওয়ার প্লেতে ৫৩ রান তুলে কুমিল্লা।

তবে এরপরের ওভার থেকেই শুরু হয় সিলেটের আক্রমণ। সামিত প্যাটেল এলোমেলো করে দেন কুমিল্লার ব্যাটিং অর্ডার। প্রথমে রিজওয়ানকে ১৪ ও পরে ইমরুল কায়েসকে ফেরান ২৮ বলে ৩০ রানে। কুমিল্লার পক্ষে ইনিংস সর্বোচ্চ রানটাই করেন তিনি।

পাঁচে নামা রোস্টন চেজকেও (২) ফেরান সামিত। মাঝে তাওহীদ হৃদয় দারুণ শুরু করেও ফেরেন রান আউট হয়ে। ফেরার আগে ৮ বলে করেন ৯ রান। ১০.৪ ওভারে ৭৪ রানে ৫ উইকেট হারায় কুমিল্লা।

সেখান থেকে খুশদিল শাহ ও জাকের আলির ৩৯ রানের জুটি কুমিল্লাকে তিন অংকের ঘর পার করে। খুশদিল আউট হন ২২ বলে ২১ রানে। শেষ ওভারে আউট হওয়া জাকের আলির ব্যাটে আসে ২৭ বলে ২৯ রান। কুমিল্লার ইনিংস থামে ৮ উইকেটে ১৩০ রানে।