কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার চার ইউনিয়নের প্রায় ৩৫ গ্রাম প্লাবিত হয়ে পড়েছে। পানিবন্দি ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষ। এদিকে জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ধরলা, তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বাড়লেও বিপত্সীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর পানি কমতে শুরু করলেও সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে বেড়েছে যমুনা নদীর পানি। যমুনায় ধারাবাহিকভাবে পানি বৃদ্ধির সঙ্গে বাড়ছে ফুলজোড়, করোতায়া, বড়াল ও ইছামতিসহ অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানিও।

জানাগেছে, লালমনিরহাট পয়েন্ট তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া পয়েন্টে পানি এখন বিপদসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় ও অন্যান্য নদীর পানি বাড়ায় পাটগ্রাম, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার নদী তীরবর্তী ১৭টি গ্রামের মানুষ এখনো পানিবন্দি রয়েছে।

সোমবার (১৩ই জুন) সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে যমুনার পানি রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৭২ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় ১৫ সেন্টিমিটার বেড়ে তা বিপৎসীমার ১ দশমিক ৬৩ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন, সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের গেজ রিডার হাসানুর রহমান।

যমুনায় ধারাবাহিকভাবে পানি বৃদ্ধির সঙ্গে বাড়ছে ফুলজোড়, করোতায়া, বড়াল ও ইছামতিসহ অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানিও। ইতিমধ্যে চলনবিল অধ্যুষিত তাড়াশের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে।

এদিকে, কুড়িগ্রামের রৌমারী ও রাজীবপুর উপজেলায় পাহাড়ি ঢলে ৩৫টি গ্রামের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পানিতে সুনামগঞ্জের সব নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটি অব্যাহত থাকলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, সুনামগঞ্জ পৌরসভার উত্তর আরপিন নগর, বড়পাড়া, সাহেববাড়ি ঘাট, পুরানপাড়া রাস্তাঘাট পানিতে ডুবে গেছে। এটি অব্যাহত থাকলে দ্বিতীয় দফা বন্যা হতে পারে।