মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের প্রস্তুতি প্রায় শেষের দিকে। দিবসটিকে ঘিরে নেয়া হয়েছে সকল ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্রতিবারের মতো এবারও রঙে রঙে সেজে উঠছে শহীদ মিনার।

আজ (সোমবার) শহীদ মিনার এলাকায় সরজমিনে দেখা যায়, মিনারের মূল বেদিসহ আশপাশের রাস্তার দেয়ালে নতুন রঙ করা হচ্ছে। ঝাড়ু ও ধোয়ামোছাসহ পরিষ্কার করার কাজ চলছে পুরোদমে। আলপনা, সাজসজ্জা ও গাছের গুঁড়ি রং করার কাজও শেষের দিকে।

এদিকে, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপনে নিরাপত্তাজনিত সব ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘২০শে ফেব্রুয়ারি রাত ১২টা থেকে ২১শে ফেব্রুয়ারির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। রাত ১২টার পর পরই রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী প্রথমে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করবেন। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দুই ভাগে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। প্রথম ভাগে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও বিদেশি কূটনৈতিকরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। তারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বিদায় নেওয়ার পর জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। এই দুই ভাগে শহীদ মিনারের নিরাপত্তাসহ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে, মহান একুশে ফেব্রুয়ারির প্রস্তুতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। তিনি বলেন, একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে প্রস্তুতি প্রায় শেষের দিকে। আশা করছি, যথাসময়ে আমরা কার্যক্রম শেষ করতে পারব। ভিসি বলেন, দিবসটি পালনে সবার সহযোগিতা কামনা করছি।

সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত ও ঢাবির সুনাম অক্ষুন্ন রাখার স্বার্থে কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি কর্তৃক গৃহীত সকল কর্মসূচির বাস্তবায়নে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকল সদস্য কাজ করবে। ডিএমপি, র‌্যাব ও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, ডিএসসিসি এবং গণমাধ্যমসহ সবার সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করছি।