সরকারি চাকরিতে কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধের কারণে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো আজ সোমবার বিকেল থেকে অচল হয়ে পড়ে রাজধানীর বড় অংশ। গুলিস্তান, শাহবাগ, ফার্মগেট, সায়েন্স ল্যাব মোড়সহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সড়কে আন্দোলনকারীরা অবস্থান নেন। এতে কোনো গাড়ি চলতে পারছিল না। ঘণ্টার পর ঘণ্টা এক জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিল। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন অফিস শেষে ঘরমুখী মানুষ। অন্য যাত্রীরাও সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়েন।

শিক্ষার্থীদের অবরোধের মুখে প্রায় সব সড়কে আটকে আছে বিপুলসংখ্যক রিকশা-সিএনজিসহ ব্যক্তিগত ও গণপরিবহন। এসব পরিবহনের চালকরা আজ বঞ্চিত হচ্ছেন কাঙিক্ষত আয় থেকে। অনেক রিকশা ও সিএনজিচালক মালিকের ‘জমা’ দেওয়া নিয়েও দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।

আবার এর উল্টো চিত্রও দেখা গেল। রাস্তায় অনেক রিকশা আটকে থাকায় সংখ্যায় কম থাকা অলিগলির রিকশাচালকরা লুপে নিচ্ছেন বাড়তি আয়ের সুযোগ। ৮০-১০০ টাকার ভাড়া তারা নিচ্ছেন ১৮০ টাকা থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে পূর্ব ঘোষিত ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। সরকারি চাকরিতে মেধার মূল্যায়ন করার দাবি তাদের। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কঠোর আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা ছাত্র-ছাত্রীদের।

সড়ক অবরোধের কারণে কারওয়ান বাজার, বাংলামোটর, ফার্মগেট, রামপুরা, বাড্ডা এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে রাজধানীর একটি বড় অংশ যানজটে স্থবির হয়ে পড়েছে। চরম ভোগান্তিতে অফিস ছুটি শেষে ঘরে ফেরা মানুষ।