জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেছেন, ‘জুলাই আন্দোলনে গণহত্যাকারী খুনি হাসিনা ও তাঁর দোসরদের রাজনীতিতে পুনর্বাসনের কথা যাঁরা বলেন, তাঁরাও ফ্যাসিস্টদের দোসর।

শনিবার (২৩শে নভেম্বর) দুপুরে বরিশালে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে শহীদ পরিবারগুলোর মধ্যে আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘খুনি হাসিনা সাধারণ মানুষের ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে। এদেরকে গোড়া থেকে নির্মূল না করতে পারলে, আবার ষড়যন্ত্র শুরু করবে। তাই যত দ্রুত সম্ভব খুনিদের এই দেশের মাটিতে এনে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।’

সারজিস আলম বলেন, ‘যে নবজাতক জন্মের আগেই বাবা হারাল, তাকে আমরা কী জবাব দেব? আমরা সহজে সব ভুলে যাই। ১৬ বছর ভুলে যাই, গুম-খুন-হত্যা ভুলে যাই। কিন্তু এ দেশের ছাত্র সমাজ এবার আর ভুল করবে না। আমরা সব হত্যার বিচার নিয়েই ঘরে ফিরব। আর কোনো ফ্যাসিস্টকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসতে দেওয়া হবে না।’

তিনি বলেন, ‘খুনি হাসিনা সারাজীবন ১৯৭৫ সালের গল্প বলে ক্ষমতাকে সুদৃঢ় করার চেষ্টা করেছেন। এখন তিনি দুই হাজার মানুষকে কীভাবে খুন করলেন? তিনি যদি দরদ বোঝেন তাহলে এ খুনগুলো কীভাবে করতে পারেন? যে রাজনৈতিক সংগঠনকে সামনে রেখে তারা এ কাজগুলো করেছে তাদের কোনো অধিকারই নেই এই বাংলাদেশে চলার।

অনুষ্ঠানে সকাল থেকেই শিল্পকলা একাডেমিতে উপস্থিত হন বিভাগের বিভিন্ন জায়গা থেকে শহিদ পরিবারের সদস্য ও আহতরা। এ সময় বিভাগের মোট ৭৯টি পরিবারের মাঝে পাঁচ লাখ টাকার চেক দেওয়া হয়। এ ছাড়াও জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে শহিদ পরিবার ও আহতদের চিকিৎসা পরামর্শ দেওয়া হয়। এতে একটি হট লাইন: ১৬০০০ নম্বরে প্রতি রোববার থেকে বৃহস্পতিবার চিকিৎসা সহায়তা পরামর্শের ব্যবস্থা রয়েছে বলে জানানো হয়।

শহিদ পরিবারের সদস্যরা দাবি করেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যারা গুলি চালিয়ে তাদের স্বজনদের হত্যা করেছে তাদের বিচার করতে হবে।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক দেলোয়ার হোসেন ও সিভিল সার্জন মারিয়া হাসান।