খাগড়াছড়ির কয়েক জায়গায় গত বিকেল ও রাতে স্থানীয় দু’পক্ষের সংঘর্ষে ৩ জন নিহত, ৯ জন আহত হয়েছে। এছাড়াও ভাংচুর ও আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বহু দোকান। এলাকাগুলোতে এখনও উত্তেজনা ও উদ্বেগময় পরিস্থিতি।
খাগড়াছড়ি দীঘিনালা ঘটনার রেশ ধরে রাঙ্গামাটিতে সংঘাত ছড়িয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে শহরে ১৪৪ ধারা জারি করেছে জেলা প্রশাসন। শুক্রবার (২০ সেপ্টম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান।
পুলিশ জানায়, মোহাম্মদ মামুন নামে এক যুবককে চুরির অভিযোগে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটলে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায় ও বিক্ষোভ মিছিল করে একদল শিক্ষার্থী। মিছিলটি লারমা স্কয়ার অতিক্রমের সময় ছাত্রদের সাথে স্থানীয়দের ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া থেকে সংঘর্ষ বাঁধে। বহু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও দোকান ভাংচুর ও অগ্নিকাণ্ডের শিকার হয়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে সেনাবাহিনী ও বিজিব পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসব ঘটনার জেরে রাতে খাগড়াছড়িতে আবার দু’পক্ষে গোলাগুলি হয়। সেখানে নিহত হয় অন্তত তিনজন, আহত হয় অনেকে। জেলা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক রিপল বাপ্পি চাকমা জানান, সংঘর্ষের পর গুলিবিদ্ধ বেশ কয়েকজনকে হাসপাতালে আনা হয়। তাদের মধ্যে জুনান চাকমা, ধনঞ্জয় চাকমা এবং রুবেল নামে তিন জন মারা যান। উন্নত চিকিৎসার জন্য ৪ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত রাঙ্গামাটিতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে জেলা প্রশাসন।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাঙ্গামাটির জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়েছে।