ধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় সাড়ে ১৬ টন ত্রাণ নিয়ে মিয়ানমার গেলো সেনা ও বিমানবাহিনীর দুটি বিশেষ বিমান। রোববার ঢাকা সেনানিবাসে বিমানবাহিনী ঘাঁটি কুর্মিটোলা থেকে ত্রাণবাহী বিমান দুটি রওনা হয়।

এসময় বিমান ঘাঁটিতে উপস্থিত হয়ে প্রতিনিধি দলকে বিদায় জানান সেনা প্রধান ওয়াকার উজ জামান, বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন, নৌবাহিনী প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান।

পরে সাংবাদিকদের সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ আলিমুল আমীন জানান, পাঠানো ত্রাণের মধ্যে শুকনো রেশন, বিশুদ্ধ পানি, খাবার স্যালাইন, তাঁবু, মশারি ও সোলার লাইটসহ জরুরি জিনিসপত্র রয়েছে।

গত ২৮ মার্চ স্থানীয় সময় ১২টা ৫০ মিনিটে মায়ানমার ও থাইল্যান্ডে ৭.৭ মাত্রার ভয়াবহ এক ভূমিকম্প আঘাত হানে। ওই ভূমিকম্পে মিয়ানমারে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৬০০ জনের অধিক নিহত এবং তিন হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে বলে জানা যায়।

মিয়ানমারের বিভিন্ন অঞ্চলে উক্ত ভূমিকম্পের ফলে খাদ্য ও পানি, বাসস্থান সংকট এবং জরুরি চিকিৎসা সেবার অভাবে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিবেশী দেশের মানবিক বিপর্যয়ে বাংলাদেশ মর্মাহত এবং তাদের সহায়তা প্রদানে বদ্ধপরিকর।

উদ্ধার কার্যক্রমের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২০ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স হতে ১০ সদস্যের একটি উদ্ধারকারী দল প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

এছাড়াও, চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। মিয়ানমার সরকারের প্রয়োজন সাপেক্ষে পরবর্তীতে এই উদ্ধারকারী এবং মেডিকেল দল প্রেরণ করা হবে।

সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিশ্বাস করে, বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রেরিত এই মানবিক সহায়তা মায়ানমারে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের দূর্ভোগ কমিয়ে আনতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। আগামী দিনগুলোতে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী বৈশ্বিক যে কোনো প্রয়োজনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আত্মনিয়োগের জন্য অঙ্গীকারাবদ্ধ।