গরমে মিষ্টি আম খেতে সবাই পছন্দ করে। আম খাওয়ার ক্ষেত্রে কেটে খানা বা গাছ থেকে জাস্ট পেড়েই খান আঁটিটা ফেলে দিয়ে শাঁসটুকুই খাওয়া হয়৷ আমের আঁটি ফেলে দেওয়া হয়৷  কিন্তু আপনি কি জানেন যে আমের আঁটির মধ্যে এমন গুণাবলী থাকে যা ওষুধ হিসাবেও ব্যবহৃত হয়।

এই আঁটির কিন্তু গুণ রয়েছে। এটি শরীর থেকে ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল দূর করতে সাহায্য করে। তাই আমের আঁটি ফেলে দেওয়ার পরিবর্তে এটিকে সুস্বাদু-মশলাদার খাবার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।

রিসার্চার গেটসের মতে, আমের আঁটিতে প্রচুর পুষ্টিগুণ রয়েছে। খনিজ পদার্থের কথা বললে, এতে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, জিঙ্ক, কপার রয়েছে৷

আমের আঁটির উপকারিতা
ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত গবেষণা অনুযায়ী আমের বীজে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা ডায়ারিয়ার সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। আমের আঁটির পাউডার  বানিয়ে খাওয়া যায়৷

আমের বীজের সাহায্যে আপনি খারাপ কোলেস্টেরলের সমস্যা দূর করে ভারসাম্য রাখতে পারেন। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনেই এটি ব্যবহার করা ভাল৷  এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও উপকারি এবং ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস দ্বারা ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এটি পিরিয়ডের সময়ে মাসিকের ব্যথা কমাতে এবং উপশম করতেও সাহায্য করতে পারে। আমের আঁটির সিদ্ধ করে আম ডাল বা চাটনির ক্ষেত্রেও আমের আঁটির গুণ এসে যায়৷

ব্লাড প্রেসার ভারসাম্য রাখতে আমের আঁটির সাহায্য নিতে পারেন। এর জন্য পাউডার ব্যবহার করা যেতে পারে। চিকিৎসকদের সাহায্য নিয়ে ব্যবহার করুন৷

দাঁত মজবুত করার ক্ষেত্রেও আমের গুঁড়ো ব্যবহার করতে পারেন।  ব্রন দূর করতে আমের আঁটির ব্যবহার করা যেতে পারে। আমের বীজের তেলে অ্যান্টি-পিম্পল ক্ষমতা রয়েছে৷ আমের গুঁড়ো করে চুলে লাগালে খুশকির সমস্যাও চলে যায় এবং চুল মজবুত হয়।

সুতরাং আম খাওয়ার পর আঁটি ফেলে দেওয়ার আগে একবার ভাবুন।