বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং তার রাজনীতি ও নির্বাচন করতে পারা না-পারার বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া পুরোপুরি আদালতের এখতিয়ার বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (১০ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুসলিম হল মাঠে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ইলেকশন করবেন নাকি রাজনীতি করবেন তা নির্ভর করবে আদালতের সিদ্ধান্ত ওপর। খালেদা জিয়ার রাজনীতি আইনি প্রক্রিয়ায় চলবে। সব জায়গায় রাজনীতি প্রযোজ্য নয়, প্রতিটি অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক প্রভাব থাকা উচিত নয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, মানবিক কারণে খালেদা জিয়া জেলের বাইরে আছেন, তার দণ্ড শেষ হয়নি। তার রাজনীতি ও নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত আদালতের ওপর নির্ভর করে। শেখ হাসিনা মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে। আর দেশের টাকা লুটপাট করায় জনগণ বিএনপিকে  প্রত্যাখ্যান করেছে।

এ সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল বলেছিলেন আওয়ামী লীগ বিলাসী জীবনযাপনের জন্য রাজনীতি করে। আওয়ামী লীগ কোনো বিলাসী রাজনীতি করে না, পকেটের রাজনীতি করে বিএনপি, শেখ হাসিনার সরকার জনকল্যাণে রাজনীতি করে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি যখন ক্ষমতার ছিল, সে সময় তারা বিলাসী জীবন-যাপন করেছে, এখনও তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লন্ডনে বসে পলাতক অবস্থায় আয়েশি জীবনযাপন করছেন। সেখানে তাদের আয়েশি জীবন-যাপনের কথা আওয়ামী লীগকে বলা শোভা পায় না। তারা নিজেদের পকেটের উন্নয়নের রাজনীতি করেন এবং শেখ হাসিনা দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের রাজনীতি করেন। কে কি বলল তাতে আমাদের কিছু আসে যায় না। আমরা যা করছি মানুষের জন্য করছি। মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য করছি। যারা লুটপাট করেছে তাদের জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে বলে আজ তারা ক্ষমতায় নেই।

অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনকে অরাজনৈতিক উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সব জায়গায় রাজনীতি করতে চাই না। কিছু কিছু জায়গা রাজনীতি থেকে বাইরে রাখতে হয়। অ্যালামনাইয়ের চরিত্র অরাজনৈতিক হওয়া উচিত।

অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ডক্টর মো. নিজামুল হক ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান, সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দীন আহমেদ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুসসহ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়শনের সদস্যরা। অনুষ্ঠান উদ্বোধনের পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।