বিএনপি মহাসিচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ক্রমাগত জটিল হয়ে পড়ছে। অবিলম্বে তাকে মুক্তি দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়া প্রয়োজন।
তিনি বলেন সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসায়, উদ্দেশ্যেমূলক ভাবে খালেদা জিয়াকে আটকে রেখে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। কয়েকদিনের মধ্যেই আবারও তাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে।
গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আজ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
পেনশন স্কিম ‘প্রত্যয়’ বাতিলের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের এবং সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে বিএনপির সমর্থন আছে, তবে কোনো ইন্ধন নেই বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সরকারি দলের অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে তিনি বলেছেন, এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন।
ফখরুল বলেন, এসব আন্দোলনে বিএনপির কোনো ইন্ধন নেই, তবে সমর্থন রয়েছে। সরকার দুর্নীতিসহ মানুষের চিন্তাধারা ভিন্ন দিকে নিতে এসবের সমাধান না করে জিইয়ে রাখছে।
প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার লোনে জর্জরিত এক দেশ থেকে ঋণ নিয়ে আরেক দেশকে পরিশোধ ও অর্থনীতিকে বাঁচানোর জন্য আবারও লোন চাচ্ছে। এতে লাভ হবে না। কারণ তারা দুর্নীতি লুটপাট চালিয়ে যাচ্ছে।
খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থা উদ্বেগজনক জানিয়ে মহাসচিব বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় খালেদা জিয়াকে আটক রাখা হয়েছে। ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ নেতারা নিজেদের মামলা প্রত্যাহার করে নেয়। তবে খালেদা জিয়ার মামলা ঝুলিয়ে রাখা হয়। পরে সেই মামলায় তাকে সাজা দেওয়া হয়েছে।
ফখরুল বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা দরকার, কারণ তিনি নানা রোগে আক্রান্ত। তাই সার্বক্ষণিক ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে থাকতে হচ্ছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনকে মুক্ত করতে অতীতের মতো শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানান বিএনপি মহাসচিব।