ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের সময় রাজধানীতে সংঘটিত দু’টি হত্যা মামলার আসামি হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রাজধানীর নিউ মার্কেট থানায় সবুজ আলী ও লালবাগ থানায় দায়ের করা খালিদ সাইফুল্লাহ হত্যা মামলায় শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
আজ শনিবার রাতে তাদের উপস্থিতিতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) মো. জসিম উদ্দীনের আলাদত উভয়পক্ষের বক্তব্য শোনার পর তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ১৪ই আগস্ট রাজধানীর নিউ মার্কেটে সংঘটিত একটি হত্যা মামলার আসামি হিসেবে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত। আজ নিউ মার্কেট থানার ওই মামলায় আারও ৫ দিনের রিমান্ডও মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ১৩ই আগস্ট গোপন তথ্যের ভিত্তিতে নৌপথে পলায়নরত অবস্থায় রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে সালমান এফ রহমান, আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার (১৪ আগস্ট) নিউমার্কেট এলাকায় দোকান কর্মচারী শাহজাহান আলীকে (২৪) হত্যার অভিযোগে করা মামলায় তাদের দুইজনের দশ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ।
সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হকের মামলার অভিযোগে মামলার বাদী আয়শা বেগম বলেন, আমার ছেলে শাহজাহান আলী নিউমার্কেট থানার বলাকা সিনেমা হলের গলির মুখে পাপোশের দোকানে কাজ করতো। প্রতিদিনের মতো ১৬ জুলাই সকাল ৯টার দিকে দোকানে কাজ করার জন্য যায়।
ওইদিন সন্ধ্যায় অজ্ঞাতপরিচয় একজন ব্যক্তি ছেলের মোবাইল ফোন নম্বর থেকে আমাকে জানায়, শাহজাহান গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ধানমন্ডি পপুলার হাসপাতালে ভর্তি। আমি সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিক পপুলার হাসপাতালে যাই এবং জানতে পারি, আমার ছেলেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার পর মর্গে গিয়ে ছেলের মরদেহ শনাক্ত করি।
তখন বিভিন্ন ব্যক্তির মাধ্যমে জানতে পারি, গত ১৬ জুলাই আমার ছেলে অজ্ঞাতপরিচয় কোটাবিরোধীদের কর্তৃক গুরুতর রক্তাক্ত জখমপ্রাপ্ত হয়ে সিটি কলেজের বিপরীত পাশে কাদের আর্কেড মার্কেটের সামনে পড়ে ছিল।
এ ঘটনায় গত ১৬ জুলাই কোটাবিরোধী আন্দোলন চলাকালে আয়শা বেগম (৪৫) একটি মামলা করেন। মামলায় আসামি করা হয় অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে।