১৫ই আগস্টের হত্যাকাণ্ডের বিচারের মধ্যে দিয়ে দেশে শুধু মানবাধিকারই প্রতিষ্ঠা করিনি, বাংলাদেশের মানুষকে অভিশাপ থেকে মুক্ত করা হয়েছে বলে জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এমন হত্যাকাণ্ড যেনো আর না ঘটে বলেও উলে­ক করেন তিনি।

আজ মঙ্গলবার (১৮ই অক্টোবর) সকালে শেখ রাসেল দিবস ২০২২ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ১৫ই আগস্ট শিশু শেখ রাসেল সহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার চেতনাকে ধ্বংস করা হয়। এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলা শুরু হয়

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারে এসে ১৫ই আগস্ট জাতির পিতাসহ শেখ রাসেল এবং যারা যারা নির্মম হত্যার শিকার হয়েছিলেন তাদের খুনিদের বিচার করতে পেরেছি। এর মাধ্যমে অভিশাপমুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ। তাইতো দেশ এগিয়ে যেতে পারছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার একটাই লক্ষ্য- এ দেশের মানুষ যেন একটা সুন্দর জীবন পায়। তাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন সুন্দর হয়। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ যেন মর্যাদার স্থান পায়।

যুদ্ধ চাইনা, সংঘাত চাই না, বুলেটের আঘাতে কোন শিশুর জীবন ক্ষতবিক্ষত হোক সেটা চাই না। শান্তি চাই। বাংলাদেশসহ পুরো বিশ্বে শান্তি বিরাজ করুক। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ এগিয়ে যাক সেটাই চাই।

শেখ রাসেল স্মরণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছোট্ট রাসেল তখন সেনা সদস্যদের দেখত, বড় হয়ে সেও সেনা সদস্য হতে চাইত। টুঙ্গিপাড়ায় গেলে সে সমবয়সী শিশুদের জড়ো করত। তাদের প্যারেড করাত। তারপর চাচার কাছ থেকে টাকা নিয়ে শিশুদের হাতে ১ টাকা করে দিত। মা ওইসব শিশুদের জন্য চকলেট-বিস্কুট নিতে যেতেন। এ ছাড়া নতুন জামা-কাপড় নিয়ে যেতেন। রাসেল সেগুলো ওই শিশুদের দিত। সেই রাসেলসহ আমার পুরো পরিবারকে ঘাতকরা নির্মমভাবে হত্যা করেছে।

দেশের উন্নয়নের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পর পর তিনবার ক্ষমতায় আসতে পেরেছি বলেই বাংলাদেশকে এতদূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পেরেছি। স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে পেরেছি। দেশ এখন এগিয়ে যাচ্ছে। আপনাদের সকলের সহযোগিতায় আরও এগিয়ে যাবে।