খুলনায় শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. নিশাত আব্দুল্লাহর ওপর হামলার অভিযোগে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি তৃতীয় দিনে গড়িয়েছে। এতে রোগীদের ভোগান্তিও দীর্ঘায়িত হচ্ছে।
চিকিৎসকের ওপর হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে আন্দোলনকারী চিকিৎসকেরা আজ (শুক্রবারও) অনড় অবস্থানে রয়েছেন। যদিও এ ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশের উপ-পরিদর্শক নাঈমুজ্জামানকে সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে জেলা পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. শেখ নিশাত আব্দুল্লাহর ওপর হামলার প্রতিবাদে বুধবার (পহেলা মার্চ) সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার কর্মবিরতির ঘোষণা দেন চিকিৎসকেরা।
তাদের অভিযোগ, ভুল চিকিৎসার অভিযোগ এনে গত ২৫শে ফেব্রুয়ারি নগরীর শেখপাড়া এলাকার হক নার্সিং হোমের অপারেশন থিয়েটারে ঢুকে পুলিশের এএসআই নাঈম ও তার সঙ্গীরা ডা. শেখ নিশাত আবদুল্লাহকে মারধর করেন। এছাড়া অপারেশন থিয়েটারে ভাঙচুর চালান তারা। পরে তাদের ধর্মঘট আরো বাড়ানো হয়।
ধর্মঘটের কারণে জেলার হাসপাতালগুলোতে সকাল থেকে চিকিৎসার জন্য অপেক্ষা করছেন রোগীরা। তবে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কোনো চিকিৎসক দেখা যায়নি। এ বিষয়ে আগামীকাল শনিবার শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে চিকিৎসকদের। একইদিন সন্ধ্যা ৭টায় খুলনার বিএমএ ভবনে কার্যনির্বাহী কমিটির জরুরি সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। ওই সভায় পরবর্তী করণীয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
অন্যদিকে হামলাকারী পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ডা. নিশাত আব্দুল্লাহ ও হক নার্সিং হোমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. নুরুল হক ফকিরের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এএসআই নাঈমুজ্জামান শেখের স্ত্রী নুসরত আরা ময়না বাদী হয়ে গত মঙ্গলবার রাতে নগরীর সোনাডাঙ্গা থানায় এই মামলা করেন।
সোনাডাঙ্গা থানায় পালটাপালটি দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মমতাজুল হক বলেন, দুটি মামলায় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।