খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসের পথ বেঁচে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ (শুক্রবার) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করা হয়।
তিনি বলেন, খুলনার পথে পথে তারা আমাদের নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে। খুলনায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র যে বাসায় অবস্থান করছে, সেইখানেও পুলিশ রেইড করেছে এবং ২৩ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।
দেশের বিদ্যুৎ পরিস্থিতি, চলমান লোডশেডিং ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানাতে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিএনপি। এতে উপস্থিত ছিলেন দলটির সিনিয়র নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিদ্যুৎ পরিস্থিতি যা ভাবা হচ্ছে তার চেয়েও খারাপ।
তারা বলেন, সমুদ্র জয়ের কথা বলা হলেও গ্যাস দিতে পারেনা সরকার অথচ মিয়ানমার গ্যাস রপ্তানী করছে চীনে। সরকার দেশে বিদ্যুৎ দিতে না পারলেও ক্যাপাসিটি চার্জ বসিয়ে দিয়েছে জনগণের ওপর। ব্যর্থতার দায়ে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।
এসময় বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকারের লুটপাটের মাশুল দিতে হচ্ছে জনগণকে। কমিশন বাণিজ্যের জন্য স্পট মার্কেট থেকে উচ্চমূল্যে গ্যাস কিনছে সরকার। এসবের প্রতিবাদে আন্দোলন করতে গেলেও গুলি করা হচ্ছে। খুলনার সমাবেশে গণপরিবহণ বন্ধ করে দেওয়ার পর সন্ত্রাসী কায়দায় পথে পথে নেতাকর্মীদের সমাবেশে যেতে বাধা দেয়া হচ্ছে, গ্রেফতার করা হচ্ছে। দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরির আহ্বান জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।