মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস তদন্তে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সমন্বয়ে গঠিত গণকমিশনের কোনো ভিত্তি নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। ১১৬ জনকে ধর্মব্যবসায়ী আখ্যা দিয়ে গণকমিশনের করা শ্বেতপত্রের ভিত্তি নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছেন মন্ত্রী।

আজ শুক্রবার (২০শে মে) সকালে, রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে লায়ন্স ক্লাবের বার্ষিক সম্মেলনে যোগদান শেষে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। কোন তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে ওই ১১৬জনকে ধর্ম ব্যবসায়ী বলা হয়েছে সেটি তিনি জানেন না উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শ্বেতপত্রটি পর্যালোচনা করা হবে। তবে এটি নিয়ে কেউ বিশৃঙ্খলা করলে শক্ত হাতে দমন করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গণকমিশন কী লিখেছে আমি জানি না। তারা যাদের নামে সন্ত্রাস কিংবা দুর্নীতির দায়ভার দিচ্ছে সেটা আমরা দেখিনি, তাই এর সম্পর্কে কিছু বলতে পারব না।

নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি করলে কঠোর ব্যবস্থার কথা উল্লেখ তিনি বলেন, আমার নামে চাঁদাবাজি করবে কেন? আমার নামে যে বা যারা চাঁদাবাজি করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর ব্যবস্থা নেবে।

আসাদুজ্জামান খান বলেন, আইনের চোখে সবাই সমান। যে অপরাধ করবে তাকেই শাস্তি পেতে হবে। যে আমার নামে চাঁদাবাজি করতে গিয়েছিল তাকে ধরা হয়েছে, তার কাছে একটি অস্ত্র পাওয়া গেছে।

সম্প্রতি ১১৬ ধর্মীয় বক্তার একটি তালিকা দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) জমা দিয়েছে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সমন্বয়ে গঠিত মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস তদন্তে গঠিত গণকমিশন।

দুদক চেয়ারম্যানের কাছে দেওয়া ২২শ পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদনে ধর্মীয় বক্তাদের নাম প্রকাশ করা হয়। এদের বিরুদ্ধে জঙ্গি অর্থায়ন ও ওয়াজের মাধ্যমে ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করার অভিযোগ আনে গণকমিশন।

সে সময় গণকমিশনের চেয়ারম্যান সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, আমরা নয় মাস তদন্ত করেছি। বহু ভুক্তভোগীর সাক্ষ্য নিয়েছি। দুদক চেয়ারম্যান আমাদের জানিয়েছেন অর্ধশতাধিক ওয়াজ ব্যবসায়ীর দুর্নীতির খোঁজ শুরু করেছেন।

গণকমিশনের সদস্য সচিব ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ বলেন, সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী ও হেফাজতের কর্মকাণ্ড উঠে এসেছে। তাদের অর্থনৈতিক জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে বলে প্রত্যাশা করছি।