আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গণতন্ত্র আছে বলেই বিএনপি আন্দোলন করতে পারছে। তবে হত্যা, অগ্নিসন্ত্রাস আর জঙ্গিবাদে জড়িতদের কোন ছাড় দেয়া হবে না বলেও সতর্ক করেছেন তিনি। আজ শুক্রবার (২৮শে অক্টোবর) গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা। সভায় আগামি ২৪শে ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনের তারিখ চূড়ান্ত করা হয়েছে।

জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে দেশে চলমান রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যেই শুক্রবার অনুষ্ঠিত হলো আওয়ামী লীগের সব চেয়ে বড় ফোরাম কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা। প্রায় ছয় মাস পর প্র্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে এই সভার আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সভার শুরুতে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই বৈশ্বিক সংকটের মধ্যেও দেশের মানুষ ভালো আছে। আগামি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানুষ আবারো আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনবে বলেও জানান তিনি।

জাতীয় নির্বাচনে জয়ী হতে সরকারের উন্নয়ন আর বিএনপি জামায়াতের অপশাসনের কথা জনগনের কাছে তুলে ধরতে নেতা কর্মীদের নির্দেশনা দেন দলীয় প্রধান। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। তাই বিএনপিকে আন্দোলনের সুযোগ দিয়েছে। তবে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদীদের কোনো ছাড় নেই বলে জানান তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি এবং কাজ করে যাবো। আমাদের উন্নয়নের কথাগুলো যেমন মানুষের কাছে পৌঁছায়ে দিতে হবে, ঠিক তেমনি ভবিষ্যতের জন্য যে পরিকল্পনা করছি সেটাও মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে। বিএনপির আমলে যে তাদের লুটপাট, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, গ্রেনেড হামলা, অত্যাচার নির্যাতন, খুন-রাহাজানি এমন কোনো অপকর্ম নেই যা তারা করেছে। যে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করে এসেছে সেই দেশকে তারা ভিখারির দেশে পরিণত করে। হাত পেতে চলার দেশে পরিণত হয়েছিল। সেখান থেকে বাংলাদেশকে তুলে এনে আজকে আমরা আত্মমর্যাদাশীল দেশে পরিণতি করেছি। যে দেশকে বিশ্বের মানুষ সম্মানের চোখে দেখে।

সভায় আগামি ২৪শে ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনের তারিখ চূড়ান্ত করা হয়। এছাড়া ৪ঠা ডিসেম্বর চট্রগ্রামে পলো গ্রাউন্ডে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায়দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা ভাষণ দেবেন বলেও ঠিক করা হয়।