আওয়ামী লীগ দেশে লুটপাট চালিয়ে বিদেশে দেশের সম্পদ পাচারে মরিয়া হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ক্ষমতা ধরে রাখতে সরকার রাষ্ট্রযন্ত্র, পুলিশ-র‌্যাবকে ব্যবহার করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে জেএসডি’র আলোচনা সভায়, দলমত নির্বিশেষে সকলে এক হয়ে যুগপৎ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে হটানোর আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।

সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, চলমান যুগপৎ আন্দোলন বিএনপি বা গণতন্ত্র মঞ্চের একার আন্দোলন নয়। এটা গোটা জাতির সংগ্রাম। স্বাধীনতা, ভোটাধিকার এবং গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে হলে সব গণতন্ত্রকামী মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার ক্ষমতায় চেপে বসেছে। তারা আবারও বাকশাল কায়েম করতে চায়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করে কায়েম করতে চায় একদলীয় শাসন ব্যবস্থা।’

তিনি বলেন, ‘মানুষ ভোট দিতে পারছে না। ভিন্ন মত প্রকাশ করলেই কারাগারে যেতে হচ্ছে। সৎভাবে কেউ ব্যবসা করতে পারছে না। দলীয় লোক না হলে ব্যবসায়ীর প্রতি চলে নিপীড়ন।’

তিনি বলেন, ‘২ মার্চ জাতীয় জীবনের গুরুত্বপূর্ণ দিন। ৫২ বছরেও এই দিনটি রাষ্ট্রীয়ভাবে পালিত হয়নি।

তিনি আরও বলেন, ‘আজ স্বাধীনতা যুদ্ধের রূপকার মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল ওসমানীর অবদান, এমনকি মুক্তিযুদ্ধের সময় নেতৃত্বদানকারী তাজউদ্দীন আহমদের অবদানও স্মরণ করা হয় না। আজ ভিন্ন দল করার কারণে স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলক আ স ম রব, ইশতেহার পাঠক শাজাহান সিরাজ, স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানকেও স্মরণ করা হয় না। তারা (আওয়ামী লীগ) জিয়াউর রহমানকে খলনায়ক হিসেবে প্রচার করছে।’

জেএসডির সিনিয়র সহ-সভাপতি তানিয়া রবের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণ-অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন প্রমুখ।