বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, জাতীয় জীবনের সকল ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক রীতি ও মূল্যবোধ জোরালো করার ক্ষেত্রে সংসদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তাই সংসদ সদস্যদের এ লক্ষ্যে জনগণের মাঝে কাজ করে যেতে হবে। যুক্তরাজ্যের লর্ড সভার কমিশনার ফর স্ট্যান্ডার্ডস ও কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল মি. আকবর খান এর সাথে সাক্ষাৎকালে স্পীকার এসব কথা বলেন। আজ বুধবার (তেসরা আগস্ট) সংসদ সচিবালয়ের পরিচালক(গনসংযোগ) মোঃ তারিক মাহমুদ স্বাক্ষরিত
এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়ে।

স্পীকার বলেন, দারিদ্র্য, অশিক্ষা, লিঙ্গবৈষম্য, বেকারত্ব ও স্বাস্থ্য সমস্যা নিরসন করতে না পারলে গণতন্ত্র যথাযথভাবে অর্থবহ হয় না। তাই সরকারের পাশাপাশি সংসদ সদস্যদেরও এসব সমস্যা নিরসনে কাজ করে যেতে হবে। বাংলাদেশ সরকারের নানামুখী উন্নয়ন পরিকল্পনা এবং উদ্যোগ গ্রহণের কারণে জনগণের গড় আয় ও আয়ু বৃদ্ধি, সর্বোপরি জীবনমানের যথেষ্ট উন্নতি হরয়ছে।

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের কার্যক্রম উলে­খ করে স্পীকার বলেন, সংসদ সদস্যদের মাঝে জ্ঞানভিত্তিক সংসদীয় চর্চা জোরালো করার জন্য বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ নানা উদ্যোগ নিয়েছে। সংসদ সদস্যরা জনগণের জীবনমান উন্নয়নে জাতীয় পর্যায়ে এবং সেই সাথে নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকার প্রত্যন্ত অঞ্চলের তৃণমূল পর্যায়ে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ পার্লামেন্টারিয়ান্স অন পপুলেশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট (বিএপিপিডি) সংসদ সদস্যদের মাঝে জনসংখ্যা ও উন্নয়ন বিষয়ক সচেতনতা জোরালোকরণে কাজ করছে। অন্যদিকে অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা ও বাজেট সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত ও প্রতিবেদন সরবরাহ করার জন্য পাবলিক ফিন্যান্স ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম, বাজেট এনালাইসিস ও মনিটরিং ইউনিট এবং জাতীয় সংসদের লাইব্রেরী ও গবেষণা শাখা কাজ করছে।

তিনি আরো বলেন, সিপিএ-এর মাধ্যমে সংসদ সদস্যদের জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, ওয়ার্কশপ ও সেমিনার আয়োজন করা হচ্ছে। বিগত সময়ে সিপিএ চেয়ারপার্সনের দায়িত্ব পালনকালীন তিনি এসকল উদ্যোগকে আরো জোরালো করেছিলেন।

স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সিপিএ চেয়ারপার্সনের দায়িত্ব পালনকালীন যে দক্ষতা, মনোযোগ ও নিষ্ঠার পরিচয় দিয়েছেন, তা মি. আকবর খান কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন।

এসময় আকবর খান বলেন, ব্রেক্সিট কার্যকর হওয়ার পর অনেক ক্ষেত্রেই যুক্তরাজ্যের সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সম্পর্কের পরিবর্তন হয়েছে।

ব্রেক্সিট কার্যকরে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন করেছে উলে­খ করে তিনি বলেন, ব্রেক্সিট প্রক্রিয়ায় ব্রিটিশ পার্লামেন্ট আইনগত বিষয়গুলো অব্যাহতভাবে পর্যবেক্ষণ করে যাচ্ছে। কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর পার্লামেন্টসমূহও ব্রেক্সিট পরবর্তী উন্নতি পর্যবেক্ষণে রাখতে পারে।

এসময় স্পীকার বলেন, এ বিষয়ে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ অবগত রয়েছে। ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ও ইউরোপীয় পার্লামেন্ট উভয়ের সাথেই বাংলাদেশ পার্লামেন্টের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক অব্যাহত রেখেছে বলে উলে­খ করেন তিনি।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশকে প্রাণবন্ত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, জলবায়ু স্থিতিস্থাপক ডেল্টা এবং আঞ্চলিক জ্ঞান ও সংযোগের হাবে রূপান্তরে বাংলাদেশ সরকারের অব্যাহত প্রচেষ্টায় যুক্তরাজ্য নির্ভরযোগ্য বন্ধু ও অংশীদার।