দেশে ভোজ্যতেল, গম ও পেঁয়াজ সংকটের আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বুধবার (১৮ই মে) দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের দ্বিতীয় সভা শেষে সাংবাদিকদেও ব্রিফিংকালে একথা বলেন তিনি। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পর্যাপ্ত পরিমাণ মজুদের পাশাপাশি তেল আমদানি ও সরবরাহ এখন পর্যন্ত স্বাভাবিক আছে। এতে ভোজ্যতেলের সংকট হবে না।’
কোথাও কোথাও দাম বেশি রাখা হচ্ছে, ‘এমন অভিযোগ পেয়েছেন জানিয়ে বলেন, আগের মজুদ করা তেল যেন বেশি দামে বিক্রি করতে না পারে তাই ভোক্তা অধিকার অভিযান চালাচ্ছে। সয়াবিনের বিকল্প রাইস ব্র্যান ও সরিষা তেলের উৎপাদন বাড়ানোর পরামর্শও দেন তিনি।’
ভারতের গম রফতানি বন্ধের বিষয়ে টিপু মুনশি বলেন, ‘ভারত বাংলাদেশে গম রফতানি বন্ধ করেনি। জি টু জি বন্ধ হয়নি। শতভাগ গম আমদানি করা যাবে। তাদের এক্সপোর্ট বন্ধ করা কোনোভাবেই আমাদের ওপর প্রভাব পড়বে না, এটা রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন। ব্যবসায়ীরা এটা বলে মানুষকে ভয় দেখাচ্ছেন।’ ব্রাজিলসহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশ থেকেও গম আনা হবে বলেও জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।
টিপু মুনশি বলেন, ‘ভোজ্য তেলের বাজারে সমস্যা হবে না। এটা বাজারে চাহিদা অনুযায়ী আছে। গত ৫ মে তেলের যে দাম ঠিক করে দেওয়া হয়েছিল, তখন ব্যবসায়ীরা বলেছিলেন, সাপ্লাই ঠিক আছে। কিন্তু মাঝখানে সেটা ঠিক ছিল না, তবে এখন সাপ্লাই ঠিক হয়ে গেছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘২৫ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে পেঁয়াজের দাম হলে সেটা যৌক্তিক। ২০২৫ সালের পর আমাদের আর পেঁয়াজ আমদানি করতে হবে না, সেভাবেই উৎপাদন প্রক্রিয়া চলছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত পেঁয়াজের যথেষ্ট মজুত রয়েছে।’
টিসিবির পণ্য বিক্রির বিষয়ে টিপু মুনশি বলেন, ‘সরকারেরতো বহন করার একটা ক্ষমতা আছে। তাই এক কোটি মানুষকেই এখন টিসিবির পণ্য দেওয়া হবে। যার
সুবিধা পাবে পাঁচ কোটি মানুষ। এর পরিমাণ আর বাড়ানো হবে না। জুন মাস থেকে শুরু হবে এই প্রক্রিয়া।’
বাজারে জিনিসপত্রের দাম সহসাই কমার কোনও সুখবর সরকারের কাছে নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিশ্বের অন্যান্য দেশে দাম না কমলে আমাদের দেশেও কমবে না।’
এখনকার পরিস্থিতির কারণে আমাদের বৈদেশিক রিজার্ভের ওপর চাপ পড়েছে বলে জানান মন্ত্রী।