বাতিল হওয়া গাইবান্ধা-৫ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। আজ (বুধবার) সকাল সাড়ে ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। চলবে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত। সবক’টি কেন্দ্রে ভোট হচ্ছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন- ইভিএমে। নির্বাচনকে ঘিরে ওইসব এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সব ভোটকেন্দ্রে লাগানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা।
নির্বাচনকে সুষ্ঠু করতে গতবারের অভিজ্ঞতার আলোকে সব ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। অনিয়মে অভিযুক্ত ১৩৪ কর্মকর্তাকে ভোটের কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দিয়ে সাঘাটা-ফুলছড়ির বাইরে থেকে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। গতবারের মতো সিসি ক্যামেরায় ঢাকায় বসে মনিটর করা হচ্ছে এই নির্বাচন। নির্বাচনে কোনো ধরণের অনিয়মকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান।
গত ২৩শে জুলাইয়ে সংসদের সাবেক ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে এই আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। গত ১২ই অক্টোবর গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে অনিয়ম ও দায়িত্ব অবহেলার প্রমাণ মেলায় রিটার্নিং কর্মকর্তা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশের পাঁচ উপপরিদর্শক (এসআই) ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাসহ ১৩৪ জনের বিরুদ্ধে বরখাস্তসহ বিশেষ আইন অনুসারে বিভিন্ন মেয়াদের শাস্তির সিদ্ধান্ত দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এই উপনির্বাচনে পাঁচ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। তারা হচ্ছেন আওয়ামী লীগের মাহমুদ হাসান রিপন, জাতীয় পার্টির (জাপা) এ এইচ এম গোলাম শহীদ রঞ্জু, বিকল্পধারার জাহাঙ্গীর আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাত এবং সৈয়দ মাহবুবুর রহমান। তবে গত ২৫ ডিসেম্বর স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাদ বগুড়ায় সংবাদ সম্মেলন করে ভোট কারচুপির আশঙ্কায় এই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন।