গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ আগামীকাল বুধবার। এদিন সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত সম্পূর্ণ ইভিএমে বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ করা হবে। প্রচারণার শেষ সময়ে সরে দাঁড়িয়েছেন এক স্বতন্ত্র প্রার্থী। সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত হলে আগামীকাল ভোটারদের যথেষ্ট উপস্থিতি থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদিকে, আগের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
এরই মধ্যে নির্বাচনের প্রচার গতকাল সোমবার মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। নির্বাচনে মাহমুদ হাসান রিপন (আওয়ামী লীগ), এ এইচ এম গোলাম শহীদ রঞ্জু (জাতীয় পার্টি), অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম (বিকল্প ধারা), নাহিদুজ্জামান নিশাদ (স্বতন্ত্র) ও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান (স্বতন্ত্র) প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন।
নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সার্বিক প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এরই মধ্যে নির্বাচনী সরঞ্জাম নির্বাচনী এলাকায় পৌঁছে গেছে। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে কেন্দ্রভেদে ১৬ থেকে ১৮ জনের ফোর্স মোতায়েন করবে ইসি। এ ক্ষেত্রে সাধারণ কেন্দ্রে ১৬ থেকে ১৭ জন এবং ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে নিয়োজিত থাকবে ১৭ থেকে ১৮ জন ফোর্স।
ইসির যুগ্ম সচিব এস এম আসাদুজ্জামান গতকাল এ তথ্য জানিয়ে বলেন, ভোটকেন্দ্র পাহারায় পুলিশ, অঙ্গীভূত আনসার ও গ্রাম পুলিশ ভোটের আগে ও পরের চার দিন মোতায়েন থাকবে। এ ছাড়া পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের ছয়টি ভ্রাম্যমাণ ও চারটি স্ট্রাইকিং ফোর্স ভোটের মাঠে থাকবে।
অন্যদিকে চার প্লাটুন বিজিবি ও র্যাবের ৯টি দল আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করবে। এদিকে, ৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও দুজন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা এবং সংক্ষিপ্ত বিচারকাজ সম্পন্ন করবেন।
গত ১২ অক্টোবর এ আসনের উপনির্বাচনে ব্যাপক অনিয়মের কারণে ভোট গ্রহণ বন্ধ করে দেয় ইসি। পরে ৪ জানুয়ারি ভোটের নতুন তারিখ ঘোষণা করা হয়। জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়ার মৃত্যুতে গাইবান্ধা-৫ আসনটি শূন্য হয়।