গাজা উপত্যকায় নতুন করে আরও অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে প্রায় দুইশো জন।
ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মধ্য ও দক্ষিণ গাজায় ইসরাইলের হামলায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এরমধ্যে মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ শহরের খাদিজা নামের একটি স্কুলে ইসরাইলের বিমান হামলার ঘটনা ঘটে। বর্বর এ হামলায় ১৫ শিশুসহ ৩০ জন প্রাণ হারিয়েছে। হামলায় আহত হয়েছে আরও শতাধিক মানুষ। ওই স্কুলে হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলো।
তবে ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর দাবি, ওই স্কুলের ভেতরে হামাস নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র খুলেছিল। সেখানে হামাস সদস্যরা অবস্থান করে অস্ত্রের মজুত গড়ে তুলেছে। এমনকি ওই বিদ্যালয় থেকে বিভিন্ন জায়গায় হামলার পরিকল্পনা করা হতো।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, স্কুলে চালানো এই হামলায় হতাহতরা বেসামরিক নাগরিক। বেশিরভাগই শিশু। বিবিসির পক্ষ থেকে ওই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করা হয়েছে।
হামাসের পক্ষ থেকে টেলিগ্রামে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ইসরাইলি অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। হামাস বলছে, ইসরাইল মিথ্যা অভিযোগ করছে। ওই স্কুলে নিহত ব্যক্তিরা উদ্বাস্তু, অসুস্থ ও আহত বেসামরিক মানুষ ছিলেন। তাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
সম্প্রতি গাজা উপত্যকায় একের পর এক স্কুলে হামলা চালাচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী। এসব হামলা বেসামরিক মানুষজনের ওপর নয় বরং হামাস ও হামাসের স্থাপনায় চালানো হচ্ছে বলে দাবি ইসরাইলের।