গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বাহিনীর ভয়াবহ হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় নিহত ৩৯। এতে আহত হয়েছেন ১২৩ জন। স্থানীয় সময় শুক্রবার (৮ নভেম্বর) এ বিষয়ে ৩২ পৃষ্ঠার একটি পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। যুদ্ধে নারী ও শিশু হত্যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মৌলিক নীতির পরিপন্থী বলে অভিহিত করা হয়েছে। খবর আল-জাজিরার।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেছে, নিহত এবং আহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি। কারণ অনেকেই ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছেন। যুদ্ধ পরিস্থিতি এবং লোকবল-সরঞ্জামের অভাবে তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা এবং ২৪২জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায়। হামাসের হামলার জবাব দিতে এবং জিম্মিদের উদ্ধারে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ থেকে বার বার যুদ্ধবিরতির আহ্বান জনানো হলেও তা উপেক্ষা করে এখনও গাজায় অভিযান জারি রেখেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধের জেরে গাজায় খাদ্য, সুপেয় পানি এবং ওষুধের ভয়াবহ সংকট চলছে। এছাড়া গাজায় বসবাসকারী প্রায় ২০ লাখ ফিলিস্তিনির প্রায় সবাই বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং হামাসের কব্জায় থাকা জিম্মিদের মুক্ত করতে দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে আসছে আমেরিকা, মিসর ও কাতার ৩ দেশ। তবে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু অভিযানে বিরতি দিতে রাজি না হওয়ায় সেসব চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। গাজায় নির্মম অভিযানের জেরে ইসরাইলের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে গণহত্যা মামলা দায়ের হয়েছে জাতিসংঘের আদালত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে)।