চলমান যুদ্ধবিরতির মধ্যেও ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলি বর্বরতা চলছেই। গাজায় ইসরাইলের হামলায় একদিনে আরও ৩৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। আন্তর্জাতিক একাধিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে নেতানিয়াহু বাহিনী চুক্তি লঙ্ঘন করে গাজা সিটি, খান ইউনূস উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পর একদিনে দখলদারদের হামলায় উপত্যকাটিতে বহু ফিলিস্তিনি নিহতের ঘটনা ঘটেছে, আহত হয়েছেন অনেকে। এ ধরনের হামলা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ দিকে নিয়ে যেতে পারে মন্তব্য করে ইসরাইলকে নিয়ন্ত্রণে আনতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস।
অধিকৃত পশ্চিম তীরেও দখলদারদের আগ্রাসনের শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবারও ইসরাইলি সেনাদের অভিযানে হতাহত হন বেশ কয়েকজন। ঘটছে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করার ঘটনাও। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে হামাস জানায়, চলতি বছর জেনিন, তুলকারেম ও নুর শামস শরণার্থী শিবির থেকে ৩২ হাজার ফিলিস্তিনিকে ঘরবাড়ি ছেড়ে যেতে বাধ্য করেছে ইসরাইলি বাহিনী। এ ধরনের জোরপূর্বক উচ্ছেদকে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে সংস্থাটি।
এদিকে গাজার ‘ইয়েলো লাইন’ এলাকায় তেল-আবিবের ভূখণ্ডের দিকে তাক করা অবস্থায় একটি রকেট লঞ্চার জব্দের দাবি করেছে ইসরাইলি সেনারা। এলাকাটিতে আরও একটি বড় অস্ত্রভাণ্ডার খুঁজে পাওয়ার দাবি করেছে তারা।
গাজার গণমাধ্যম কার্যালয় জানিয়েছে, হামলার সঙ্গে সঙ্গে উপত্যকাটির পূর্বাঞ্চলে ‘ইয়েলো লাইন’র সীমা ৩০০ মিটার বাড়িয়ে নতুন করে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে ইসরাইল। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ট্যাঙ্কসহ ইসরাইলি সেনারা গাজা সিটির পূর্বাঞ্চলে অগ্রসর হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে মধ্যস্থতাকারী ও নিশ্চয়তাদাতাদের নীরবতা আর গ্রহণযোগ্য নয় বলেও জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে, যুদ্ধবিরতির চুক্তি লঙ্ঘন করে গাজায় হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে কাতার। ইসরাইলের এমন কর্মকাণ্ডে যুদ্ধবিরতি ভেস্তে যেতে পারে বলেও মন্তব্য করেছে দেশটি। আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই যুদ্ধবিরতি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।












