ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি হামলায় আরও ২৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক। এর ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে চলমান ইসরায়েলের আগ্রাসনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে প্রায় ৫০ হাজার ৩০০ জনে পৌঁছেছে। এছাড়া গাজা ভূখণ্ডে ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে আরও একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (২৯ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
বার্তাসংস্থাটি বলছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে আরও ২৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যার ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের গণহত্যামূলক আগ্রাসনে ভূখণ্ডটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫০ হাজার ২৭৭ জনে পৌঁছেছে বলে শনিবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকে আরও একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, যিনি প্রাণহানির তালিকায় যুক্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৭০ জন আহত হয়েছেন, যার ফলে সংঘাতের শুরু থেকে আহতের সংখ্যা ১ লাখ ১৪ হাজার ৯৫ জনে পৌঁছেছে। অনেকেই এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে আছেন, যাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলের হামলার ফলে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ জনগণ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে।
গত ১৯ জানুয়ারি আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। এরপর প্রায় দুই মাস শান্তি বজায় থাকলেও চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে হামাসের সঙ্গে মতানৈক্যকে কেন্দ্র করে ইসরায়েল ফের বিমান হামলা শুরু করে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৮ মার্চ থেকে ইসরায়েলি হামলায় ৯২১ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৩ হাজার ৫৪ জন আহত হয়েছেন। এতে চলতি বছরের জানুয়ারিতে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে গেছে।
এর আগে গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে আগ্রাসনের জন্য আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলার মুখোমুখিও হয়েছে ইসরায়েল।