ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) বিমান অভিযানে অন্তত ৪০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৭৩ জন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় এই হতাহতের ঘটনা ঘটে বলে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে।
আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় অভিযান শুরু করে আইডিএফ। শুক্রবারের অভিযানের পর গত দেড় বছরে উপত্যকায় মোট নিহত ও আহতের সংখ্যা পৌঁছেছে যথাক্রমে ৫১ হাজার ৬৫ জন এবং ১ লাখ ১৬ হাজার ৫০৫ জনে। এই নিহত এবং আহতদের ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু।
ইউনিসেফের তথ্য অনুসারে, বর্তমানে গাজায় অন্তত ১৬,০০০ ফিলিস্তিনিকে জরুরি চিকিৎসার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে সরিয়ে নেওয়া প্রয়োজন। জরুরি চিকিৎসা সহায়তার প্রয়োজন – এমন লোকদের মধ্যে ৪০০০ শিশু রয়েছে।
জানুয়ারিতে সম্পাদিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে ১৮ মার্চ ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় পুনরায় গণহত্যা শুরু করে এবং আক্রমণের তীব্রতা বাড়ায়।
জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধের জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে আহ্বান জানানো হয়েছে। জাতিসংঘের আদালত নামে পরিচিত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলাও দায়ের করা হয়েছে। ইসরায়েলের অভ্যন্তরেও যুদ্ধবন্ধ করে জিম্মিদের মুক্তির ব্যাপারটিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়েছে।
তবে নেতানিয়াহু স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, হামাসকে পুরোপুরি দুর্বল ও অকার্যকর করা এবং জিম্মিদের মুক্ত করা এই অভিযানের লক্ষ্য এবং লক্ষ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে গাজায়।