ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরাইলের বর্বরতা থামছেই না। উপত্যকাটিতে সাম্প্রতিক হামলায় প্রাণ হারিয়েছে আরও ২০ ফিলিস্তিনি। বর্তমানে মধ্য গাজার দেইর এল-বালাহতে অভিযান চালাতে ট্যাঙ্ক নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী।
দেইর এল-বালাহ এলাকা খালি করতে ইসরাইল নির্দেশ দেওয়ার পর থেকেই গাজায় সোমবার থেকে সাহায্য কার্যক্রম স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছে জাতিসংঘ। নিউইয়র্কের সদরদপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, চলতি বছরের শুরুতে ইসরাইলি বাহিনী স্থল আক্রমণ শুরু করলে রাফা থেকে স্থানান্তরিত হয়ে এখান থেকে কার্যক্রম চালানো হতো।
আলজাজিরার এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, এক বছরের কম সময়ের মধ্যে ইসরাইলি হামলা গাজার ৪০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনির প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। গত বছরের ৭ অক্টোবরের পর থেকে ৩২০ দিন ধরে গাজায় নৃশংস হত্যাযজ্ঞ অব্যাহত রেখেছে ইসরাইল। তেল আবিবের আকাশ ও স্থল হামলায় গাজা উপত্যকায় এ পর্যন্ত যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের মধ্যে প্রায় ১৭ হাজার শিশু, যা উপত্যকাটির মোট শিশুর ২ দশমিক ৬ শতাংশ। দিনের হিসাবে ইসরাইলের হামলায় প্রতিদিন গড়ে ৫২ শিশু প্রাণ হারিয়েছে। এ ছাড়া প্রতিদিন গড়ে ৭২ জন নারী ও পুরুষকে হত্যা করেছে ইসরাইল। হামাস-ইসরাইল সংঘাত শুরুর পর এখনও ১০ হাজারের বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছে।
এছাড়া অধিকৃত পশ্চিম তীরেও বড় ধরনের সামরিক অভিযান চালাচ্ছে ইসরাইল সেনারা। অঞ্চলটির বিভিন্ন এলাকায় ইসরাইলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছে নয় ফিলিস্তিনি। বন্ধ করে দিয়েছে পশ্চিমতীরের জেনিনে প্রবেশের সব পথ।