গাজা পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ওয়াশিংটনে বলেছেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা শুরু হওয়ার পর আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় এখন তা চুক্তি সইয়ের ‘খুব কাছাকাছি’ পৌঁছেছে। যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য সকলের প্রচেষ্টাকে যেন দুর্বল মনে না করা হয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, তিনি কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল–থানি ও মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল–সিসির সঙ্গে আলাপ করেছেন। তারা আমেরিকার প্রস্তাবে  জোরালো সমর্থন দিয়েছেন।

এছাড়াও প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, গাজার যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পদক্ষেপ হিসেবে ইসরাইলে যাবেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন, মধ্যস্থতাকারী কাতার, মিশর এবং আমেরিকার সর্বশেষ আলোচনাকে গঠনমূলক আখ্যা দিয়ে ব্লিঙ্কেন জানান, যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে বেশ আশাবাদী আমেরিকা।

গত বৃহস্পতিবার (১৫ই আগস্ট) ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা নিয়ে কাতারের রাজধানী দোহায় আলোচনা শুরু করেন ইসরাইল ও আমেরিকাসহ অন্য মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো। গতকাল শুক্রবার দ্বিতীয় দফার বৈঠক স্থগিত হয়। তবে মধ্যস্থতাকারীরা আগামী সপ্তাহে এ বিষয়ে আবার আলোচনায় বসবেন।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসর এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, ওয়াশিংটন যুদ্ধবিরতি নিয়ে এক নতুন প্রস্তাব পেশ করেছে। এতে সমঝোতার কিছু পয়েন্ট রয়েছে এবং এটি মতপার্থক্য কমিয়ে এনেছে, যা দ্রুত  কোনো চুক্তি কার্যকর করতে পারে। মধ্যস্থতাকারীরা বলেছেন, এ প্রস্তাব নিয়ে কাজ করে যাবেন তারা। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আলোচনা এখন মানুষের জীবন রক্ষা করা, গাজার মানুষের মধ্যে স্বস্তি আনা ও আঞ্চলিক উত্তেজনা কমিয়ে আনার পর্যায়ে রয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় গাজায় ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধের অবসান এবং অবশিষ্ট ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তির লক্ষ্যে চুক্তি সইয়ের প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন তারা।

গত বছরের ৭ অক্টোবর শুরু হওয়া এ যুদ্ধে গাজায় ৪০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস চলতি আলোচনায় সরাসরি অংশ না নিলেও আলোচনার বিষয়বস্তু ও অগ্রগতি নিয়ে অবগত করা হচ্ছে তাদের।