ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা জুড়ে চলছে ইসরাইলের বোমাবর্ষণ। উত্তরাঞ্চলের দুটি স্কুলে ইসরাইলের বিমান হামলায় অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ওই স্কুল দুটিতে বাস্তুচ্যুত মানুষরা আশ্রয় নিয়েছিলো।
দক্ষিণ গাজাতেও স্থল অভিযান জোরদার করেছে ইসরাইল। সেখানে ঢুকে পড়েছে ইসরাইলি ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান। দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহরের এক পঞ্চমাংশ খালি করার নির্দেশ দিয়েছে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থাটি জানিয়েছে, সোমবার গাজা উপত্যকার উত্তরে দারাজ এলাকায় দুটি স্কুলে ইসরাইলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ৫০ জন নিহত হয়েছেন। বাস্তুচ্যুত লোকদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য ওই স্কুল দুটি ব্যবহৃত হচ্ছিল।
তবে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অবশ্য হামলা ও প্রাণহানির এই খবরটি তাৎক্ষণিকভাবে তাদের পক্ষে স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি। অপরদিকে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র বলেছেন, তারা হামলার খবর খতিয়ে দেখছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ৭ অক্টোবর থেকে অবরুদ্ধ উপত্যকায় ইসরাইলি বিমান ও আর্টিলারি হামলায় কমপক্ষে ১৫ হাজার ৮৯৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৭০ শতাংশই নারী বা ১৮ বছরের কম বয়সী শিশু-কিশোর।
এছাড়া আরও হাজার হাজার মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন এবং তারা ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এর আগে সোমবার গাজার দক্ষিণের প্রধান শহর খান ইউনিসের কিছু অংশ ছেড়ে যেতে ফিলিস্তিনিদের নির্দেশ দেয় ইসরাইল। তবে বাসিন্দারা বলেছেন, তাদের যে এলাকায় যেতে বলা হয়েছে সেগুলোও হামলার কবলে পড়েছে।
গত ৭ অক্টোবর থেকে অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরাইল। ইসরাইলি এই হামলা থেকে বাদ যায়নি গাজার স্কুল, মসজিদ এমনকি হাসপাতালের মতো স্থাপনাও।
এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সতর্কতা সত্ত্বেও গাজার স্কুলে আবারও ইসরাইলি হামলার ঘটনা ঘটল।