গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ী নওয়াব আলী মার্কেট এলাকার একটি ফ্ল্যাট বাসা থেকে স্বামী–স্ত্রীর গলা কাটা অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ।

এ সময় স্ত্রী রহিমা খাতুন (৩৫) নিহত অবস্থায় থাকলেও স্বামী এমরান হোসেন (৪০)-এর পালস পাওয়া গেলে দ্রুত তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।

শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকালে একতা ভিলার পঞ্চম তলার ওই বাসা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। নিহত ও আহত দম্পতি ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট থানার আমতলা গ্রামের সুরুজ আলীর ছেলে এমরান হোসেন এবং তার স্ত্রী রহিমা খাতুন।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, এমরান ও রহিমা তাদের ১৬ বছর বয়সি মেয়ে শারমিনকে নিয়ে একতা ভিলার ৫ তলায় ভাড়া থাকতেন। পরিবারের মধ্যে কোনো বিষয় নিয়ে মতবিরোধের জেরে প্রথমে এমরান ধারালো দা দিয়ে স্ত্রী রহিমাকে গলা কেটে হত্যা করেন। পরে একই দা দিয়ে নিজেও গলা কাটার চেষ্টা করেন।

ঘটনা প্রত্যক্ষ করে তাদের মেয়ে শারমিন চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে বিষয়টি জানতে পারেন এবং পুলিশে খবর দেন।

খবর পেয়ে কোনাবাড়ী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহত রহিমার মরদেহ উদ্ধার করে এবং গুরুতর আহত অবস্থায় এমরানকে হাসপাতালে পাঠায়।

কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহউদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘মরদেহ উদ্ধারের পর তল্লাশির সময় স্বামী এমরানের পালস পাওয়া যায়। আমরা দ্রুত তাকে হাসপাতালে পাঠিয়েছি।

নিহত রহিমার মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে এবং আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’