প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন দেশে, হত্যা গুম এবং খুনের অপসংস্কৃতি চালু করেছে জিয়াউর রহমান। ভোট কারচুপির রাজনীতিও তার হাতেই শুরু। পঁচাত্তরের খুনিদের বিচার বন্ধ করে জিয়াই মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। এখন তার দলের মুখেই মানবাধিকারের কথা শুনতে হয়। আজ মঙ্গলবার (৩০শে আগস্ট) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আর্ন্তজাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকা মহানগর উত্তর এবং দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের স্মরণ সভায় এসব বলেন তিনি।
দেশ বিরোধী চক্র নতুনভাবে নানা এখন অপপ্রচার চালাচ্ছে উলেখ করে প্রধানমন্ত্রী এদের থেকে সতর্ক থাকতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান। এসময় তিনি বলেন, এই দেশ কখনো শ্রীলঙ্কা হবে না। বিএনপির আমলেই দেশে শ্রীলঙ্কার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিলো। আওয়ামী লীগ সেই অবস্থা থেকে দেশকে উদ্ধার করেছে। সরকার প্রতিটি প্রকল্প সুপরিকল্পিতভাবে নিচ্ছে বলেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, যারা দেশের স্বাধীনতা চায়নি, যারা ১৫ আগস্টের খুনি, তাদের স্বজন ও কিছু অপরাধী দেশের বিরুদ্ধে এখনও ষড়যন্ত্র করেছে। তাদের বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। বিএনপির ক্ষমতার সময়ের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত কী হয়েছিল ঢাকা শহরে, বিদ্যুতের জন্য হাহাকার, পানির জন্য হাহাকার। সারের জন্য মাঠে নামায় ১৮ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
আমরা ৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়িয়ে গেলাম, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে সে উৎপাদন কমিয়ে গেছে বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। জ্বালানি তেলের দাম কমানো প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তেল পাচার বন্ধ হওয়ায় লিটারে ৫ টাকা দাম কমানো হয়েছে। আমরা কখনও ধার করে ঘি খাই না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের যে ঋণ তাতে আমরা কখনও কারো কাছে আটকে যাব না। বাংলাদেশ সেই অবস্থায় নেই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে আমরা সাশ্রয়ী নীতি গ্রহণ করেছি। এটা না করলে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দায় আরও সমস্যায় পড়তে হতে পারে। অপচয় রোধ করতে হবে। সীমিত করতে হবে সব। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে পৃথিবী আরও ভয়াবহ অবস্থায় যাবে। নিজেদের যতটুকু জায়গা আছে, কাজে লাগাতে হবে, নিজের খাদ্যের জোগান যেন নিশ্চিত করা যায়।