রূপচর্চায় তো গোলাপের পাপড়ি নিশ্চয়ই ব্যবহার করেছেন। গোলাপের চা খেয়ে দেখেছেন কখনও? গোলাপের চায়ে রয়েছে নানান গুণ। কম বয়সে চোখের চারপাশে বলিরেখা, ত্বক নিষ্প্রভ হয়ে পড়া, চোখের তলায় কালচে ছোপসহ ইত্যাদির কারণে হতে পারে উদ্বেগ। তবে এ ক্ষেত্রে পান করা যেতে পারে গোলাপ ফুলের চা অথবা রোজ টি।
শুধু মানসিক চাপ বা উদ্বেগ নয়, মুখের ঘা, বমি বমি ভাব, মাথার যন্ত্রণা, অতিরিক্ত রক্তপাত, মাইগ্রেন, হজমের সমস্যা, হার্টের স্বাস্থ্য, পুরুষদের বন্ধ্যত্বের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে গোলাপ ফুলের চা।
গোলাপ ফুলের চা বানাতে যা যা লাগবে-
নিজের গাছে ফোটা গোলাপফুল গুলোর পাপড়ি ঝরে গেলে, সেগুলো ফেলে না দিয়ে চা তৈরির জন্য রেখে দিতে পারেন। গোলাপের পাপড়ি শুকিয়ে তার সঙ্গে আরও বিভিন্ন রকম ভেষজ মিশিয়ে বিশেষ ধরণের এ চা তৈরি করা যেতে পারে। তবে বাড়িতে এ চা বানানোর ক্ষেত্রে শুধুমাত্র গোলাপের পাপড়িই যথেষ্ট। একটি পাত্রে গরম পানি নিন। তারপর পানি ফুটে গেলে চুলার গ্যাস বন্ধ করে গোলাপের কিছু শুকনো পাপড়ি ছড়িয়ে দিন। এরপর পাত্রটি ঢেকে রেখে দিন বেশ কিছুক্ষণ। তারপর পাপড়িগুলো ছেঁকে নিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন গোলাপ ফুলের চা।
গোলাপ চায়ের যেসকল গুণ:
ফোলা ভাব কমায়: গোলাপের চায়ে আছে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি গুনাগুণ। শরীরের ফোলা ভাব কমিয়ে ফেলতে সহায়তা করে এই চা।
হজমে সহায়ক: প্রতিদিন দুই কাপ গোলাপ চা পান করলে ডায়রিয়া কিংবা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে সেটা দূর হয়। এছাড়াও গ্যাসের সমস্যা কমায় এই চা।
ডিটক্সিফাই: গোলাপ চা শরীরকে ডিটক্সিফাই করে। নিয়মিত এই চা পান করলে শরীরের ক্ষতিকর উপাদান বের হয়ে যায়। এছাড়াও যাদের ইউরিন ইনফেকশনের সমস্যা আছে তাদের জন্যও গোলাপ চা খুব উপকারী।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: গোলাপ চায়ে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে। ফলে নিয়মিত এই চা পান করলে নানা ধরণের ইনফেকশনের ঝুঁকি কমে যায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
সতেজ রাখে: গোলাপ চায়ের দারুণ মিষ্টি গন্ধে মানসিক চাপ কমে হয় এবং মন ভালো থাকে।