দুর্ভাগা, নিজেকে দুর্ভাগাই ভাবতে পারেন কিলিয়ান এমবাপে। ফাইনালে হ্যাটট্রিক করলেন অথচ তার দল বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হতে পারল না। কিন্তু তিনি ঠিকই পেয়ে গেলেন গোল্ডেন বুট। তাও আবার লিওনেল মেসিকে হারিয়ে। ৭ গোল করেও মেসি জিততে পারলে না প্রেস্টিজিয়াস পুরস্কারটি।
মেসি এবং এমবাপে দু’জনই বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলতে নেমেছিলেন ৫টি করে গোল নিয়ে। ম্যাচের ২৩ মিনিটেই পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন মেসি। সে সঙ্গে নিজের গোলও বাড়িয়ে নেন ৬টিতে। কিন্তু এমবাপে ক্ষিপ্র চিতার মতো পাল্টে দিলেন দৃশ্যপট। দ্বিতীয়ার্ধে করে বসলেন ৩ গোল। এক মিনিটেরও কম ব্যবধানে জোড়া গোল করে বসেন এমবাপে। একটি পেনাল্টি থেকে। অন্যটি করেন দুর্দান্ত এক প্লেসিং শটে।
সে সঙ্গে এমবাপের গোল হয়ে যায় ৭টি। মেসির ৬টি। খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। এই অর্ধে এসে লিওনেল মেসি এক দুর্দান্ত গোল করেন। সমান হয়ে যায় দু’জনের গোল। এরপর অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয় অংশে আবারও পেনাল্টি পেয়ে যায় ফ্রান্স। শট নেন এমবাপে। গোল। হ্যাটট্রিক। সে সঙ্গে তার গোল হয়ে যায় ৮টি।
৮ গোল করে গোল্ডেন বুট এমবাপের। ৭ গোল করে তার পেছনেই মেসি। এই বিশ্বকাপে পেনাল্টি থেকেই গোল বেশি তার। মেসি-আর এমবাপ্পে কাতার বিশ্বকাপে ৭টি করে ম্যাচ খেলেছেন। পোল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ ছাড়া বাকিগুলোতে গোল পেয়েছেন মেসি। যদিও ৬ গোলের চারটিই স্পটকিক থেকে এসেছে।
২৩ বছর বয়সী এমবাপে ডেনমার্ক ও পোল্যান্ডের বিপক্ষে জোড়া গোল। অন্য গোলটি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। এরপর ফাইনালে হ্যাট্রিক। গতি আর ড্রিবলিংয়ে তিনি বুঝিয়ে দিলেন আসছে সময় শুধু তারই।