পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পর এবার গ্রাহক পর্যায়েও দাম বাড়ানোর  প্রস্তাব দিয়েছে বেশ কয়েকটি বিতরণ কোম্পানি। বিতরণের দায়িত্বে থাকা বাকি কোম্পানিগুলো দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব তৈরির কাজ করছে। পিডিবি জানিয়েছে সব বিতরণ কোম্পানির প্রস্তাব  পাওয়ার পর বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন-বিইআরসিতে গণশুনানির জন্য আবেদন করা হবে। জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমদানি নির্ভরতা ও অদক্ষতার কারণে চাপ বাড়বে গ্রাহকদের উপর।

সোমবার পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করা হয় প্রায় ২০ শতাংশ। এতে বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ড-পিডিবির’র  প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ৫টা ১৭ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৬টাকা ২০ পয়সা করা হয়। ডিসেম্বর থেকেই বিতরণ কোম্পানিগুলোকে বাড়তি এই দাম পরিশোধ করতে হবে।

পাইকারি দাম বৃদ্ধির পর এখন গ্রাহক পর্যায়েও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর তোরজোড় শুরু করেছে দেশের ৬টি বিতরণ কোম্পানি। এরিমধ্যে কয়েকটি  কোম্পানি আবেদন করেছে বলে জানিয়েছে পিডিবি।

বিতরণ কোম্পানির কর্মকর্তারা জানান গ্রাহক পর্যায়ে কতটুকু দাম বাড়ালে বিতরণ কোম্পানির লোকসান হবে না, তা সমীক্ষা করে আবেদন করা হবে।

পাইকারি পর্যায়ের বাড়তি দাম গ্রাহকদের কাছ থেকে আদায় করা হবে বলে মনে করেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা। জ্বালানি খাতের অদক্ষতা ও বড় প্রকল্পে বিদ্যুত উৎপাদনের খরচ বেশি হওয়ায় গ্রাহকদের ওপর চাপ আরো বাড়বে বলে মনে করেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা।

তবে সোমবার পাইকারিতে মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণার সময় বিইআরসির চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল বলেন, “পাইকারিতে মূল্য বাড়ানো হলেও এই অজুহাতে বিতরণ কোম্পানিগুলো খুচরায় বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির সুযোগ পাবে না। দাম বাড়াতে হলে তাদেরকে আবেদন নিয়ে বিইআরসিতে আসতে হবে। সেখানে বিচার বিশ্লেষণ করে তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

এ দিন সচিবালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, “গ্রাহক পর্যায়ে আদৌ দাম বাড়ানোর প্রয়োজন আছে কি না তা বিইআরসির উপর নির্ভর করছে। আপাতত গ্রাহক পর্যায়ে দাম বাড়ছে না। গ্রাহক পর্যায়ে যাতে স্বস্তি দেওয়া যায়, সেই বিষয়টিও আমরা বিবেচনা করব। এখন যেটা (দাম বৃদ্ধি) হয়েছে গ্রাহক পর্যায়ে নয়।”